অন্ধকার কেটে
সোনালী সকাল হবে
একটা অন্যরকম নতুন সকাল,
অতন্দ্র অপেক্ষার প্রহর কাটি
অপেক্ষায় চেয়ে আছি আমি
বাইরের দিকে কতোকাল।
পাশের বাড়ির
অভুক্ত শিশুরা মায়ের বুকে
চুপ হয়ে ঘুমিয়ে গেছে খানিকটা আগে,
আকাশে আসন্ন বর্ষার মেঘ
এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে
ছুটাছুটি করে
অথচ মা তার শিয়রে এখনো কষ্টে জাগে।
ক্রমে রাতের অন্ধকার
পায়ে পায়ে হেটে যায় নিরিবিলি
রাত পোহালেই বিপদ যে হবে ভারি,
শালিকের ছানার মতো
জেগে উঠে খাবার চাইবে শিশুরা
বুকে নির্মম আশংকা তারি।
অথচ
বাবুদের হেঁসেলে বাসন কোষনের ঝংকারে
বসতির ভাঙ্গে ঘুম,
সান্তনার হাতে আচঁল বুলায়ে
মা বলে বাছা আরেকটু ঘুমাও
এইতো তোমার কপালে আদর দিলুম।
ক্ষুধার কাছে আদর মূল্যহীন
অবুঝ শিশু বারবার তাই
আবছা অন্ধকারে মায়ের বুক খুঁজে,
অনাহারে মায়ের বুকও গেছে শুকিয়ে
ক্ষুধার্ত শিশুরা
অতো সব কি আর বুঝে?
মায়ের চোখের জল
মাটিতে লুটায়
কেঁপে উঠে আরশ খানি,
আহারে পূঁজি
শোষনের খড় স্রোতে
নিলি যে তুই সকলি টানি।
কিন্ত,
আঁধার কেটে আরেকটা সকাল হবেই
দৃঢ় বিশ্বাস আছে বুকে,
রাতের কষ্ট ভেসে যাবে সহসাই
প্রতিবাদ প্রতিরোধের স্রোতে
কেউ নেই তা রুখে।
তবে,
শোষণের হবে অবসান
মেহনতি মানুষের হাতে হবে নতুন পৃথিবী নির্মাণ,
বঞ্চিতেরা জেগে উঠো
আমি লিখে রেখেছি
তোমাদের আগামীর উল্লাস জয়গান।