আবুল হাশেম, রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় নানা রকম কাঁচা সবজির আবাদ হয়ে থাকে। এই অঞ্চলের প্রায় মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত।
এই সব সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করে থাকে সবজি ব্যবসায়ীরা। কঠোর লকডাউনে অনেক সবজি চাষীরা দেশের বিভিন্ন জায়গাতে সবজি রপ্তানি করতে পারছে না। তবে বর্তমানে কাঁচা সবজি ব্যাপক উৎপাদন হওয়ার এর দাম সাধারণ মানুষের নাগালে। সবজির দাম তুলনামুলক ভাবে কম হওয়াতে চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে কম। আজ বাঘা বাজারে কাঁচামালের ব্যাপক সরবরাহ দেখতে পাওয়া যায়। যার বিপরীতে দাম একেবারে কম। যেমন- পটল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭ – ৮ টাকা কেজিতে, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকায়। বেগুন পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫-৮ টাকা কেজি, খুচরা ১৫ টাকা। লাউ প্রতি পিচ ১০ টাকা করে, খুচরা বাজারে ১৫-২০ টাকা।
শষা পাইকারি বাজার ১০-১২, যা খুচরা বাজারে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা খুচরা বাজারে বিভিন্ন ভেদে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল খুচরা বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যার পাইকারি মূল্য ৫ -৬ টাকা কেজি। কচু পাইকারি প্রতি কেজি ২০ টাকা, আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা করে।
এছাড়া পিয়াজ, রসুন, পুইশাক, লাল শাক, পেপে, কাচা কলার দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। অন্যান্য কাঁচা সবজির ব্যাপক সরবরাহ থাকায় প্রায় সবজির দাম তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।
কাঁচা মরিচ দাম আগের থেকে কিছুটা বেড়ে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ২০-৩০ টাকা কেজি ছিল।
কয়েকজন চাষির সাথে কথা বললে তারা জানান, এমন দাম মোটেও তারা লাভবান হচ্ছে না বরং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।সার, বিস, মানুষ ও পরিবহন খরচ দিয়ে হিসাব করলে বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে হবে।
কাঁচা সবজি ব্যবসায়ী দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কম দামে মাল ক্র্য় করে তারাও তেমন ব্যবসায় লাভ করতে পাচ্ছেন না। পরিবহন ও খাজনা খরচ মালের দাম বেশি পড়ে সেই অনুযায়ী মালের চাহিদা কম।