কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লায় স্মাইল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়েছে।
১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদা সমুন্নতকরণ, অধিকার সুরক্ষা, প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতার প্রসার ও উন্নতি সাধন নিশ্চিতের লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রতিবছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
কুমিল্লার বরুড়া ও লাকসাম থানায় সংগঠনটি কাজ করছে।
বরুড়া থানা,লাকসাম থানার প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে কাজ করে যাচ্ছে স্মাইল ফাউন্ডেশন।
স্মাইলফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রায় এক যুগ হতে চললো বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সনদ অনুস্বাক্ষর করেছে। কিন্তু এতে প্রতিবন্ধী মানুষদের ভাগ্যের তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। বিশেষ করে যারা দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছে।’
তিনি বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অভিগম্য আগামীর পথে’। শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী মানুষের শিক্ষা গ্রহণের সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেলেও চাকরি বাজারে দেখা যায় না,অনেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী টিকে থাকতে পারছে না। চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় স্বল্প মাত্রার প্রতিবন্ধী মানুষদের খোঁজা হচ্ছে। অর্থাৎ মানুষ এখনো জানে না কিভাবে বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধী মানুষের সাথে চলাচল করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে উপবৃত্তি দিচ্ছে, ভাতার পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সেবা গ্রহণের পথ এখনো সুগম হয়নি। তবে শিক্ষা উপবৃত্তি মোবাইলের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে যেটা ভাল উদ্যোগ। এছাড়া প্রতিবন্ধী শনাক্ত করণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে ,
এছাড়া গণপরিবহন ব্যবস্থা এখনো এখনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব নয়। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বৈষম্য বিরাজমান। কোটা ব্যবস্থা নিয়ে একটি ধোয়াশা তৈরি করে রাখা হয়েছে, প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য কোটা ব্যবস্থার আলাদা বাস্তবায়ন নেই। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইনের কমিটিগুলো কার্যকর হচ্ছে না। যার কারণে প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার অর্জনে কোনো অগ্রগতি নেই।
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে নির্দেশনা দেওয়া আছে যাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাধারণ রোগীদের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে সেবা নিতে না হয়। কিছু হাসপাতালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুবিধার জন্য স্পিচ থেরাপি ও অ্যাকুপেশনাল থেরাপির ব্যবস্থাও রয়েছে যা ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে,ইতি মধ্যো স্মাইল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে হুইলচেয়ার ৪০+ টি,নগদঅর্থ ৪লক্ষ্য+,নতুন ঘরনিমার্ণ ৪টি,সেলাই মেশিনসহ বিভিন্ন অনুদান প্রদান করা হয়ছে,স্মাইল ফাউন্ডেশন লাকসাম থানার একাংশ,বরুড়া থানার একাংশ মিলে ৫১টি গ্রামে কাজ করে থাকে ৷