সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নিখোঁজের ৬দিন পর আরিফ (১৮) নামে একজনের লাশ ভেসে উঠে সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা নদীতে।
রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য আরিফের লাশ সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে জানায় ছাতক থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর বিশ্বাস।
আরিফ গত সোমবার (৯ আগষ্ট) বিকালে ছাতকের লাফার্জ সিমেন্ট কোম্পানির নৌ-ঘাট হতে করিম নেওয়াজ স্টিলবডির তৈরী নৌকা থেকে নিখোঁজ হয়।
নিহত আরিফের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাণীদিয়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক জয়নাল আবেদিনের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল আরিফ।
আরিফের বড় ভাই জিয়া উদ্দিন জানায়, আরিফ তাদের গ্রামের করিম নেওয়াজের নৌকায় ৭হাজার টাকা মাসিক বেতনে নৌ-শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। নৌকা টির মালামাল আনলোডের জন্য সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক সুরমা নদীর লাফার্জঘাটে নোঙ্গর করা ছিল।
গত সোমবার(৯ আগষ্ট)বিকাল থেকে আরিফকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে নৌকা থেকে বাড়িতে ফোন আসে। ঐদিনই আরিফের খোঁজে জিয়াসহ কয়েকজন ছাতক যান। পরদিন ছাতক থানায় জিডি করেন। ৬দিন যাবৎ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও আরিফের কোন সন্ধান পায়নি তারা। গতকাল শনিবার দুপুরে ছাতকের বাইশা বাজার এলাকার সুরমা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন ছাতক থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ জিয়াকে নিয়ে আরিফের লাশ চিহ্নিত করেন।
ছাতক থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দুপুরে বাইশা বাজার এলাকার সুরমা নদী থেকে আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়। রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোন মামলা হয়নি।
করিম নেওয়াজ নৌকার মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, আরিফ আমাদের নৌকায় থাকতো। গত সোমবার বিকাল থেকে তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাকে খোঁজে না পেয়ে ছাতক থানায় জিডি করি। গতকাল শনিবার তার লাশ পাওয়া গেছে শুনে আমরা আজ ছাতক যাই।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, আমি আরিফের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জেনেছি, স্বজনদের সুপরামর্শ দিয়েছি।