যশোর প্রতিনিধিঃ
হাসপাতালে চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা নার্স না থাকায় যশোরের মণিরামপুরে প্রগতি ডিজিটাল ডি-ল্যাব ও রিজু হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও জিনিয়া প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান অভিযান চালিয়ে এই দণ্ড দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারি অনুমোদন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, নির্ভুল রিপোর্ট না দেওয়া, সরকার নির্ধারিত দামের সাথে ভাউচারের মিল না থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনে জিনিয়া প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির মালিক মনিরুজ্জামান জনিকে ৫০ হাজার টাকা, ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জাকির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা এবং চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় প্রগতি ডিজিটাল ডি-ল্যাব ও রিজু হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ৫০ হাজার টাকা। অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জরিমানা দিতে না পারায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান তিনটিতে অভিযান চালিয়ে দণ্ড দেওয়াসহ তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। একইসাথে ল্যাব স্বাদ নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
অভিযানে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ এবং ডা. অনুপ বসু অংশ নেন।