কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় করা মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে আলমডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এর আগে রোববার (৬ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া মডেল থানায় দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র বাদী হয়ে সাদ আহম্মেদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিকরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৫ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন কুষ্টিয়া শহরজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। সেই সময়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকা থেকে জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ আহাম্মেদের নেতৃত্বে দীপ্ত টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরাপার্সন হারুন অর রশিদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় দেবেশ চন্দ্র সরকার ও হারুন অর রশিদ গুরুতর আহত হযন। আহত অবস্থায় তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর থেকে সাদ আত্মগোপনে চলে যায়। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে সাদ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে সাত পালিয়ে আলমডাঙ্গায় আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিলে মঙ্গলবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদকে আলমডাঙ্গা থেকে মঙ্গলবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।