প্রসেনজিৎ দাস, আগরতলা: আবারো ত্রিপুরায় চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে পালিয়ে গেলো দুই আসামি। এবারে পালালো দুই করোনা আক্রান্ত আসামী। ঘটনা ত্রিপুরার আরজিএম ডিস্ট্রিক্ট কোভিড হেল্থ সেন্টারের। এখান থেকে পালিয়ে গেলো ২ করোণা আক্রান্ত আসামি। ভোর পাঁচটা নাগাদ বাথরুমের জানালা ভেঙে বিকাশ দেববর্মা ও প্রজিত মালাকার নামে ২ আসামি পালিয়ে যায়। ৬ আগস্ট করোণা আক্রান্ত হওয়ায় তাদের চিকিৎসার জন্য ডিস্ট্রিক্ট কোভিড হেলথ সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। দুই করোনা আক্রান্ত আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গোটা আরজিএম মহাকুমা হাসপাতাল চত্বরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে কৈলাশহর থানার ওসি পার্থ মুন্ডা, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক ভট্টাচার্যী সহ বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী। আসামিদের খোঁজে গোটা মহকুমা ও জেলা জুড়ে অভিযান চালানো হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জানা যায় , আসামি বিকাশের দেববর্মা বাড়ি ধলাই জেলার ধূমাছড়াএলাকায়, বিকাশ দেববর্মা একজন বিচারাধীন আসামি। অপরদিকে আসামি প্রজিত মালাকার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাড়ি কুমারঘাট মহকুমার রাধানগর এলাকায়। দুজনাই করণা আক্রান্ত হওয়ায় তাদের জেলা কারাগার থেকে 6 আগস্ট আরজিএম মহকুমা হাসপাতাল স্থিত ডিস্ট্রিক্ট কোভিড হেল্থ সেন্টারে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়। ভোর পাঁচটা নাগাদ এক এক করে দুজনে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। যদিও মহাকুমা হাসপাতাল ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি গেইটে পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী ছিল তবে বাথরুমের জানালা ভেঙ্গে কয়েদিরা পালিয়ে গেছে সে জায়গায় কোন নিরাপত্তারক্ষী ছিল না সেটা হাসপাতালে পেছনের পরিত্যক্ত অংশ। আসামিদের পালিয়ে যাবার প্রসঙ্গে ডিস্ট্রিক্ট কোভিড হেলথ সেন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার ডক্টর প্রীতম দাস হাসপাতাল এর পরিকাঠামোগত সমস্যাকেই দায়ী করেছেন।