এ জে সোহেল ও মাসুদ পারভেজ রনি, লাকসাম (কুমিল্লা)

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল- প্রতিটি মানুষ সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে, সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে চেষ্টা করে যাব। এ কথাটা আমাদের মাথায় থাকতে হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে চাই। কেউ ভোট কেন্দ্রে বিশৃংখলা করবেন না। ভোটাররা যদি আমাকে আপন মনে করে তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। তাদের অন্য কেউ পছন্দ থাকলে সেখানে ভোট দেবে। কাউকে বাধ্য করা যাবে না। কোন প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা দেয়া যাবেনা। যারা বিশৃংখলা করবে তাদের শাস্তি দেয়া হবে।আগামীতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে। লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলাকে আরো আধুনিক করা হবে। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছি। শত শত ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় উন্নয়ন করেছি।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে নিবে।
লাকসাম পৌরসভায় শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হয়েছে। নৌকা মার্কা মানে দেশের মানুষের উন্নয়ন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকে এবং দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা ১ নং বাক্ই দক্ষিণ ইউনিয়ন বাকই ইউনিয়ন পরিষদ মাঠও বিজরা চিরসবুজ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ২নং মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়ন চিকোনিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও মো: তাজুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ, ৩নং মুদাফরগঞ্জ শ্রীয়াং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে উঠান বৈঠক করেন। উঠান বৈঠকগুলো হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে জনসভায় রূপ নেয়।

সভায় তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী আসন লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের উন্নয়ন আর আপনাদের সমস্যা সমাধানে দিন-রাত শ্রম দিয়েছি। আপনাদের জন্য কাজ করতে গিয়ে নিজের পারিবারিক জীবন বিসর্জন দিয়েছি। আপনাদের জন্য আমি সব সময় কষ্ট করেছি, আপনাদের সুখে- দুঃখে সব সময় পাশে থেকেছি, আপনাদের ডাকে সব সময় সাড়া দিয়েছি। আপনারা আমার জন্য একদিন কষ্ট করবেন অর্থাৎ ভোটের দিন আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে নৌকা মার্কা প্রতীকে ভোট দিবেন। আমি আপনাদের সন্তান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আপনাদের সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে ছিলাম। যতদিন বেঁচে আছি তত দিন আপনাদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লাকসাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউনুস ভুঁইয়া, কুমিল্লা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মহাব্বত আলী,
শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মো: এনায়েতুল্লাহ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়শী সাহা লাকসাম পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, আওয়ামী লীগ নেতা মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অধ্যাপক আবুল খায়ের,বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল, ২নং মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শাহীন, ৩ নং মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সওদাগর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।