ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা Logo ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা’র সহধর্মীনি এডভোকেট সিগমা হুদার ইন্তেকাল Logo আমতলীতে ২য় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক আটক Logo বাঘাইছড়িতে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ মিছিল Logo সরাইলে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ Logo ভাঙ্গায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৩ আহত ৪০ Logo রূপসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ Logo সদরপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া Logo যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাসিম এর মুত‍্যু বার্ষিকী পালিত

অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ায় স্বপরিবারকে পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া

বসতঘরের মাত্র ১শ গজের মধ্যে গত তিন মাস ধরে দেদারসে চলছে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন। এরই মধ্যে মৌখিক ভাবে কয়েক দফা জানানোর পরেও তারা ড্রেজার বন্ধ করেনি। পরে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে গত বছরের ডিসেম্বার মাসের ২৬ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী স্যারের বরাবর গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তারা কেমনে জানি জানতে পেরে আমারে বেধরক মারধর করে। তখন আমি কোন উপায় না পেয়ে আবারো এ বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। এতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি উল্টো বিষয়টি জানতে পেরে ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল ও তার লোকজন শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রোজা রাখা অবস্থায় আমাকেসহ আমার স্বপরিবারকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে এখন গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না। এভাবেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্না করতে করতে কথা গুলো বলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মৃত আস্কর আলীর ছেলে আবুল বাসার (৬২)। 
অভিযুক্ত অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মতিন মুন্সির ছেলে।
ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে কামাল হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ি রক্ষা করতে আমার বাবা যত বার ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিছে ততবারই তারা আমার বাবাসহ আমাদেরকে মারধর করেছে। বর্তমানে তাদের ভয়ে আমরা স্বপরিবারে এখন গ্রাম ছাড়া। এখনতো আমার মনে হচ্ছে তারা উপজেলা প্রশাসনের চাইতেও অনেক শক্তিশালী। তিন মাসে ড্রেজার তো বন্ধ হয়নি বরং অভিযোগ দিয়ে বার বার আমরা মারধরের শিকার হচ্ছি।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আলাউদ্দিন ভূঞা জনী অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি শুরুতে অভিযোগ পেয়ে ড্রেজার বন্ধে আমার তহসিলদার ও পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। ওই ড্রেজার ব্যবসায়ী যদি অভিযোগ কারিকে মারধর করে থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত (কর্মকর্তা) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে একটি অভিযোগ দিয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ায় স্বপরিবারকে পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া

আপডেট সময় ১১:৫৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বসতঘরের মাত্র ১শ গজের মধ্যে গত তিন মাস ধরে দেদারসে চলছে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন। এরই মধ্যে মৌখিক ভাবে কয়েক দফা জানানোর পরেও তারা ড্রেজার বন্ধ করেনি। পরে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে গত বছরের ডিসেম্বার মাসের ২৬ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী স্যারের বরাবর গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তারা কেমনে জানি জানতে পেরে আমারে বেধরক মারধর করে। তখন আমি কোন উপায় না পেয়ে আবারো এ বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। এতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি উল্টো বিষয়টি জানতে পেরে ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল ও তার লোকজন শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রোজা রাখা অবস্থায় আমাকেসহ আমার স্বপরিবারকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে এখন গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না। এভাবেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্না করতে করতে কথা গুলো বলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মৃত আস্কর আলীর ছেলে আবুল বাসার (৬২)। 
অভিযুক্ত অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মতিন মুন্সির ছেলে।
ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে কামাল হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ি রক্ষা করতে আমার বাবা যত বার ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিছে ততবারই তারা আমার বাবাসহ আমাদেরকে মারধর করেছে। বর্তমানে তাদের ভয়ে আমরা স্বপরিবারে এখন গ্রাম ছাড়া। এখনতো আমার মনে হচ্ছে তারা উপজেলা প্রশাসনের চাইতেও অনেক শক্তিশালী। তিন মাসে ড্রেজার তো বন্ধ হয়নি বরং অভিযোগ দিয়ে বার বার আমরা মারধরের শিকার হচ্ছি।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আলাউদ্দিন ভূঞা জনী অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি শুরুতে অভিযোগ পেয়ে ড্রেজার বন্ধে আমার তহসিলদার ও পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। ওই ড্রেজার ব্যবসায়ী যদি অভিযোগ কারিকে মারধর করে থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত (কর্মকর্তা) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে একটি অভিযোগ দিয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।