উৎপল ঘোষ, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোর অভয়নগর উপজেলার বন্দর নগরী নওয়াপাড়া পৌরসভার অন্তর্গত মহাকাল হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার শবদহের শ্লসান ও কালী মন্দিরের জায়গা আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে জমি দখলের মহোৎসবে মেতে উঠেছে ওই এলাকার প্রভাবশালী মামলাবাজ এক ভূমি দস্যু দাঙ্গাবাজ ফজলু করিম পরিবারের বিরুদ্ধে। যার বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক মামলার অভিযোগ পাওয়া রয়েছে।
যশোর-খুলনার ভৈরব নদের তীরে মহাকাল দত্তপাড়া নামকস্থানে গিয়ে দেখা যায়,প্রায় দু’ শবদহের শ্লসান ঘাট ও কালী মন্দির শবদহের পাশেই দু’টি পাকা সমাধির স্মৃতি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজও যা জেলা প্রশাসনসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অন্যান্য কর্মকর্তার তদন্তে বেরিয়ে আসে।
জানা গেছে,১৯২৭ ও ১৯৬২ সালে রেকর্ডের মহাকাল মৌজার সাবেক দাগ ৫৩৮ দাগে খাস খতিয়ানে ৬৫ শতক জমি রয়েছে যা শ্রেণী হাট নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে।ওই জমির ওপর শবদাহের শ্লসান ও কালী মন্দির রয়েছে।তৎকালীন আমলে রবিবার ও বুধবারে হাট বসতো।হাটের পাশেই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো।হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীগংরা চৈত্র পূজা,কালী পূজাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের চিত্র তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন।
এলাকার নির্ভরযোগ্য সুত্র প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফজলু রহমান ও তার দোসররা অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালিয়ে শুধু ক্ষান্ত হননি।সে সময়ে অনেকেই তিনি এবং তাদের দোশরদের অত্যাচারে ভারত চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।শুধু তাই নয়,পাশেই দিয়াপাড়া গ্রামের নিরাপদ ঘোষ ও নুরু খাঁ এর পুত্র মুক্তিযোদ্ধা নিজাম খাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে এলাকায় আধিপথ্য লাভ করে।
১৯৮৪ দশকের দিকে এলাকার প্রভাবশালী বিতর্কিত ফজলু করিম নিজের নামীয় ০৮ বিঘা জমি কুক্ষিগত করে ঘাতক আবার নিজেই ভূমিহীন সেজে স্থানীয় ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে হাটের শ্রেণী পরিবর্তন করে কৃষি জমি উল্লেখ ০৩ শতক জমি রেখে বাকী ৬২ শতক জমির জন্য যশোর জেলা প্রশাসক দপ্তরে বন্দোবস্তের আবেদন করেন।আবেদনটি ১৫ বছরের বন্দোবস্ত দেন।।বন্দোবস্ত পাওয়ার পর সেখানে প্রবেশ করতে গেলে শ্লস্নান কমিটি ধুরন্ধর ফজলু করিমের নামীয় যাবতীয় জমির কাগপত্র সংগ্রহ করে বন্দোবস্ত জমির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।দেওয়ানী মামলায় রায় হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রায় প্রদান করেন।পরবর্তীতে বিভিন্ন মনগড়া ভূল তথ্য উপস্থাপন করে জেলা জর্জ আদালতে আপীল দায়ের করেন।আপীল মামলাটি আবারও নিম্ন কোর্টে বিচার কার্য সম্পাদনের জন্য নিম্ন আদালতে হস্তান্তর করলে বিজ্ঞ বিচারক খারিজ করে দেন।
ধুরন্ধর মামলাবাজ ফজলু করিম ৬০/১৯৯৫ নং দেওয়ানী মামলাটি চলাকালীন সময়ে সর্বশেষ আপীল ৮৭/২০১৬ ইং ফজলু করিম ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যর কোলে ঢলে পড়ার পর স্ত্রী তিন সন্তান ও দুই কণ্যা মকদ্দমা বিজ্ঞ জর্জ আদালত জনাব তরুণ বাছাড় কতৃক প্রদত্ত গত ০১/০8/২০১৬ ইং তারিখের রায় এবং ০৭/০৮/২০১৬ইং তারিখের প্রস্তুতকৃত রায় ও ডিক্রীর বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ হইয়া বিবাদী আপীলকারী পক্ষ আপীল দায়ের করিয়াছিলেন।
বাদীর মূল আরজীর বক্তব্য ছিলো দেবত্ত ও Customary right আছে এবং ০৪/০৭/১৯৭৭ ইং তারিখে ১২৭৯৫ নং কবুলতি দলিল জাল,তঞ্চকী, জাল, বেআইনী,যোগসাজসী ও সম্পূর্ণ ভূয়া যা বাদীগণের ওপর বাধ্যকর নহে মর্মে ঘোষণার প্রার্থনায় দেওয়ানী ৬০/১৯৯৫ ইং মোকদ্দমা আনায়ন করেন।
সর্বশেষ জেলা প্রশাসন, অভয়নগর উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় সকল সচেতন গণ্যমান্য সম্প্রাদায়ের ব্যাক্তিগণের সহযোগিতায় শস্যর মধ্যে ভূতের সকল তথ্য বেরিয়ে আসে ভূমিহীন নায়ক ধুরন্ধর ভন্ড প্রতারক ফজলু করিমের ইতিহাস। ফজলু করিম যে নামের ব্যাক্তি কর্শিনকালে ভূমিহীন ছিলো না মর্মে সমস্ত তথ্য প্রমানাদি প্রস্তুত করতে সক্ষম হন প্রশাসন। যা আদালতে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়।
বাদীর মোকদ্দমাটি ছিলো,হয়রানীমূলক মিথ্যা বানোয়াট যার কারণে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক ০১/০৮/২০১৬ ইং সালে শ্লসান কমিটির পক্ষে রায় প্রদান করেন।এখানে শুধু শেষ নয় এখনও প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন জামায়াত বিএনপি ক্ষমতায় আসুক তোদের দেখে নেব।মহাকালবাসী জানতে চায় ফজলু করিমের বংশধরদের খুঁটির জোর কোথায়?
সংবাদ শিরোনাম
অভয়নগরের দু’শ বছরের শ্লসান ও কালী মন্দির রক্ষার দাবি
- মুক্তির লড়াই ডেস্ক :
- আপডেট সময় ০৮:১৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
- ১৮৪ বার পড়া হয়েছে
জনপ্রিয় সংবাদ