প্রফেসর ড. আবদুল জলিল চৌধুরীঃ
আজকাল বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এমনকি অজো পাড়া গাঁয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও “অ্যালামনাই এসোসিয়েশন” নামে প্রায় সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাক্তন ছাএ-ছাএীদের সমিতি দেখতে পাওয়া যায়।এদের কাজ-কর্মের গন্ডী নিজেদের কল্যান ও নিজ প্রতিষ্ঠান উন্নয়নকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হবার কথা। কিন্তু আজকাল জাতীয় ও সামাজিক সমস্যা বিশেষ করে দূর্যোগের মোকাবেলাতেও এ সব অ্যালামনাইগুলোকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে দেখা যায়।এসব সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই নিজেদের একটা সামাজিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছে বলে প্রতীয়মান।বিগত কয়েক বছর ধরে এর গতি অনেক বেগবান বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর কারন হতে পারে আমাদের দেশে এক ধরনের “গিভিং সোসাইটি ” গড়ে উঠা নব্য ধনিক শ্রেণির কারনে,রাজনীতি চর্চার ডাইনামিজনের শ্লথ গতি ও সিরিজ আকারের নানা ধরনের দূর্যোগের মোকাবেলা প্রসূত সহমর্মিতার চেতনাবৃদ্ধি। আরো অনেক কারন থাকতে পারে।
অ্যালামনাই (Alumni) শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘প্রাক্তন’ এবং এসোসিয়েশন (Association) শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘সংঘ’। “অ্যালামনাই এসোসিয়েশন” এর সম্পূর্ণ অর্থ হচ্ছে “প্রাক্তন সংঘ”।এখানে একে অপরের সাথে মেল বন্ধন গড়ে তুলে আত্মার মেল এ একাকার হবে এটাই কাম্য।ব্যক্তির নানা মত ও পথ থাকলেও এখানে মিলবে একে অপরের সাথে। অ্যালামনাই হতে হবে সবার আত্মার সংগঠন।হতে হবে একটি পরিবার।
আরেকটু এগিয়ে গিয়ে আজকাল আবার নানা ধরনের ব্যবসায়ী কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে নিজ কর্মীদের লাইফ টাইম ধরে রাখার জন্যে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গড়ে তুলছেন নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরন ও ব্যবসায়ের কাজে অভিনবভাবে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে।
এহেন কাজে মানুষের মাঝে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্যনীয়।
এ উদ্দীপনাকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক শক্তিতে রুপান্তর করে অ্যালামনাই এসোসিয়েশনগুলোকে সমাজ ও মানব কল্যানে অধিকতর কাজে লাগানো যেতে পারে যদি নিজ রাজনীতির চর্চাকে পরিহার বা সীমিত করা যায়।
লেখক : প্রফেসর ড. আবদুল জলিল চৌধুরী, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও সভাপতি : জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি,ঢাকা জেলা শাখা