ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কোনালের সঙ্গে বিপ্লব সাহার গান ‘তোমার চোখে চোখ পড়তেই’ Logo বরুড়ায় থাইল্যান্ড প্রবাসী নিহত আনোয়ার হোসেনের পরিবারের পাশে ইউএনও Logo গোদাগাড়ীতে ভিজিএফের ৮৮ বস্তা চাউল সহ দুইজন গ্রেফতার Logo বরুড়ায় জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo বুড়িচংয়ে সোলালী ব্যাংকে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ দিয়ে গ্রাহককের টাকা ছিনতাই Logo কবরস্থানের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দে চাচাতো ভাইয়ের ঘুষিতে আ’লীগ নেতার মৃত্যু Logo বরুড়ায় বন কর্মকর্তার যোগসাজশে কাটা হচ্ছে রামমোহন হরিপুর সড়কের গাছ Logo ঈদে ১০ নাটক নিয়ে নির্মাতা এস.আই.সোহেল Logo রাঙ্গামাটিতে যৌথ উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ Logo চলচ্চিত্রের সাথে চীন ভ্রমণ : সিয়াংইয়াং থাংছেং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বেস

আজ শোকাবহ আগষ্টের ১ম দিন

মো: নাজমুল হোসেন ইমন, মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ।

এ মাসেই জাতির জনকের কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা থেকে ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। তবে মর্মান্তিক এ ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী, আওয়ামী লীগের সেই সময়ের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন; আর আহত হন ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল ছাড়াও পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর ইতিহাসের ওই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।

সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপৎগামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া, ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে, তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে।

ভারত বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ শ্রী চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্যদিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে তারা।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঠিক পরদিন অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় টাইমস অব লন্ডন-এ বলা হয়, ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।’

একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’

বরাবরের মত এবারও ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে নানান কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। শোকের মাসের শুরু থেকেই পালন করা হবে এসব কর্মসূচি। বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কোনালের সঙ্গে বিপ্লব সাহার গান ‘তোমার চোখে চোখ পড়তেই’

SBN

SBN

আজ শোকাবহ আগষ্টের ১ম দিন

আপডেট সময় ১০:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

মো: নাজমুল হোসেন ইমন, মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ।

এ মাসেই জাতির জনকের কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা থেকে ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। তবে মর্মান্তিক এ ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী, আওয়ামী লীগের সেই সময়ের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন; আর আহত হন ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল ছাড়াও পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর ইতিহাসের ওই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।

সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপৎগামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া, ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে, তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে।

ভারত বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ শ্রী চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্যদিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে তারা।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঠিক পরদিন অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় টাইমস অব লন্ডন-এ বলা হয়, ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।’

একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’

বরাবরের মত এবারও ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে নানান কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। শোকের মাসের শুরু থেকেই পালন করা হবে এসব কর্মসূচি। বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।