ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীনাদের ভোগ থেকে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি প্রাণশক্তি পাচ্ছে : সিএমজি সম্পাদকীয় Logo চীনের উন্নয়নকে বিশ্ব থেকে আলাদা করা যায় না : শেন হাই সিয়োং Logo চীন-জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা যত দৃঢ় হবে উন্নয়নের ভিত্তি তত দৃঢ় হবে Logo চীন-আসিয়ান উল্লেখযোগ্য ফলাফল অর্জন করেছে : আসিয়ানের মহাসচিব কাও কিম হোর্ন Logo নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটে বাংলা বর্ষবরণ: আলবেনীর উদ্দেশ্যে ছাড়ে যাবে বাস Logo বরুড়ায় ওরাই আপনজনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo সুন্দরবনে ফিশিং ট্রলার গ্রউন্ডিং হয়ে আটকে পড়া সাত জেলেকে উদ্ধার Logo বিজিবি সদস্য বেলালের বাড়ীতে শোকের মাতম Logo ঠাকুরগাঁওয়ে একদিনে ৩ আত্মহত্যা Logo সাজেকে শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন বিজিবি

আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্ট

আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ। রশিদদের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ দশমিক চার ওভারে ছয় উইকেট হাতে রেখেই জয়ে বন্দরে পৌঁছে যায় সাকিব বাহিনী।

শনিবার ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বল করতে নামে বাংলাদেশ। দুই আফগান ওপেনার ভালো শুরু করলেও ৩৭ দশমিক দুই ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।

জবাব দিতে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশও। তিনে নামা মেহেদি মিরাজ ও চারে নামা নাজমুল শান্ত ওই ধাক্কা সামলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। পরে মিরাজ ফিরলেও ফিফটি করে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন শান্ত। তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে।

রশিদ-মুজিবদের ঘূর্ণি এদিন কোনো কাজে আসেনি। তাদের কেউই দেখা পাননি উইকেটের।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন মেহেদি মিরাজ।

বাংলাদেশের বোলিং তোপে নড়বড়ে সংগ্রহ আফগানিস্তানের। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেলেও শেষটা ভালো হয়নি তাদের। বাংলাদেশকে ১৫৭ রানের টার্গেট দিয়েছে আফগানিস্তান।

শনিবার ধর্মশালায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভার ২ বলে ১৫৬ রান তুলে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। দলের সর্বোচ্চ ৪৭ রান এসেছে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে। ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়ান এই দুই ব্যাটার। টাইগার বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম।

ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব। দলীয় ৪৭ রানে ২৫ বলে ২২ রান করে সাকিবের বলে তানজিদ তামিমকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইব্রাহিম।

ইব্রাহিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন গুরবাজ। দলীয় ৮৩ রানে আবারও উইকেট হারায় আফগানিস্তান। আবারও উইকেটের দেখা পান সাকিব। ২৫ বলে ১৮ রান করা রহমতকে সাজঘরে ফেরান তিনি।

রহমতের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। গুরবাজকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে দলীয় ১১২ রানে জোড়া উইকেট হারায় আফগানিস্তান।

৩৮ বলে ১৮ রান করা শাহিদিকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। আর এরপরেই গুরবাজকে আউট করে বাংলাদেশকে চতুর্থ সাফল্য এনে দেন পেসার মুস্তাফিজ। ৬২ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান তিনি।

এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। ১৩ বলে ৫ রান করা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করেন সাকিব। আর মোহাম্মদ নবির স্ট্যাম্প হাওয়ায় ভাসিয়ে তাকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ।

আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন রশিদ খান। তবে দলীয় ১৫৬ রানে রশিদকে বোল্ড করেন মিরাজ। এরপরই ওমরজাইকে আউট করেন পেসার শরিফুল ইসলাম। দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: আফগানিস্তান ৩৭.২ ওভারে ১৫৬।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনাদের ভোগ থেকে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি প্রাণশক্তি পাচ্ছে : সিএমজি সম্পাদকীয়

SBN

SBN

আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৫:২১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস রিপোর্ট

আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ। রশিদদের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ দশমিক চার ওভারে ছয় উইকেট হাতে রেখেই জয়ে বন্দরে পৌঁছে যায় সাকিব বাহিনী।

শনিবার ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বল করতে নামে বাংলাদেশ। দুই আফগান ওপেনার ভালো শুরু করলেও ৩৭ দশমিক দুই ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।

জবাব দিতে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশও। তিনে নামা মেহেদি মিরাজ ও চারে নামা নাজমুল শান্ত ওই ধাক্কা সামলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। পরে মিরাজ ফিরলেও ফিফটি করে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন শান্ত। তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে।

রশিদ-মুজিবদের ঘূর্ণি এদিন কোনো কাজে আসেনি। তাদের কেউই দেখা পাননি উইকেটের।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন মেহেদি মিরাজ।

বাংলাদেশের বোলিং তোপে নড়বড়ে সংগ্রহ আফগানিস্তানের। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেলেও শেষটা ভালো হয়নি তাদের। বাংলাদেশকে ১৫৭ রানের টার্গেট দিয়েছে আফগানিস্তান।

শনিবার ধর্মশালায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভার ২ বলে ১৫৬ রান তুলে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। দলের সর্বোচ্চ ৪৭ রান এসেছে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে। ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়ান এই দুই ব্যাটার। টাইগার বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম।

ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব। দলীয় ৪৭ রানে ২৫ বলে ২২ রান করে সাকিবের বলে তানজিদ তামিমকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইব্রাহিম।

ইব্রাহিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন গুরবাজ। দলীয় ৮৩ রানে আবারও উইকেট হারায় আফগানিস্তান। আবারও উইকেটের দেখা পান সাকিব। ২৫ বলে ১৮ রান করা রহমতকে সাজঘরে ফেরান তিনি।

রহমতের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। গুরবাজকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে দলীয় ১১২ রানে জোড়া উইকেট হারায় আফগানিস্তান।

৩৮ বলে ১৮ রান করা শাহিদিকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। আর এরপরেই গুরবাজকে আউট করে বাংলাদেশকে চতুর্থ সাফল্য এনে দেন পেসার মুস্তাফিজ। ৬২ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান তিনি।

এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। ১৩ বলে ৫ রান করা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করেন সাকিব। আর মোহাম্মদ নবির স্ট্যাম্প হাওয়ায় ভাসিয়ে তাকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ।

আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন রশিদ খান। তবে দলীয় ১৫৬ রানে রশিদকে বোল্ড করেন মিরাজ। এরপরই ওমরজাইকে আউট করেন পেসার শরিফুল ইসলাম। দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: আফগানিস্তান ৩৭.২ ওভারে ১৫৬।