
সেন্টু রঞ্জন চক্রবর্তী
আমি
এ অসহনীয় চরম বৈষম্য ভরা সমাজ ও সময়ের কথা বলছি
বলছি তীব্র দাবদাহে ঝলসে গিয়ে যে কৃষকেরা মাঠে ফসল ফলায়
যারা ঘড়ির কাটার মতো ক্লান্তিহীন শ্রম দিয়ে সকলের মুখে খাবার নিশ্চিত করে
অথচ নিজেরাই অভুক্ত থেকেও খুশি থাকে
সে সকল মহামানবের কথা,
যে শ্রমিক বুকে ঠেলে প্রানপনে কলের চাকা ঘুরায়
যারা রক্ত জল করে নিরলস জীবনের ঘানি টানে
আমি তাদের কথাই বলছি।
আমি লঞ্চঘাট ও জংশনের কুলিদের কথা বলছি
আমি বলছি যারা জুতু পলিশ করে কুলটাদের বাবু বানায়
সে সকল নিরহংকারী কারিগরদের ইতিকথা,
আমি বলতে চাইছি বস্তিবাসি ও পথশিশুদের কথা
এবং গণতন্ত্রের খৰ্গে যারা বলি হয়ে চলেছে তাদের নির্মম কথা,
আমি বলতে চাইছি যারা খবরের বোঝা নিয়ে অন্যের খবর পৌঁছায় আর নিজের সকল খবরকে কষ্টের চাদরে ঢেকে দেয় সে সব ডাকপিয়নদের কথা।
আমি বলতে চাইছি
যে সমাজ রমনীদের ব্যাশ্যা বানায় এবং তাদেরকেই দোষারোপ করে সে নাটের গুরুদের কথা,
আমি বলতে চাইছি যারা সরল মানুষের চোখে ধর্মের ঠুসি লাগিয়ে ঘোড়ার মতো সোজা পথে হাটতে বাধ্য করে সে ভন্ড পাপিস্টদের কথা,
আমি বলতে চাইছি যারা ঘরে জন্মদাত্রীকে ছেড়া কাপড় পরিয়ে মাটির মূর্তিকে মাতৃরূপে পূজা করে সে মূর্খদের কথা,
আমি চিৎকার দিয়ে বলতে চাইছি
ধর্মান্তকরণের মতো উদ্ধত্বপূর্ণ গর্হিত অপরাধীদের কথা।
অতএব আমি
এও বলতে চাইছি
এ পৃথিবীর সমস্ত অচলায়তন গুড়িয়ে একটা বাসযোগ্য
সমাজ তৈরির সকল কারিগরদের সংঘটিত করার মোক্ষম সময় আমাদের উপস্থিত হয়েছে,
বৈষম্যে ভরা, কুশিক্ষায় গড়া এ পৃথিবী পাল্টাতে
আমাদের সাহসী সৈনিকদের জাগিয়ে দেয়ার এই ই উপযুক্ত সময়,
গণতন্ত্রের নামে চরম পুঁজিবাদ বিকাশের বিরুদ্ধে ঘুমন্ত
সকল আগ্নেয়গিরিকে এখনই মাটি ভেদ করে ফেঁটে উঠতে আর কাল ক্ষেপন নয়
এই আমার শেষ কথা।
(আগরতলা ১২/০৯/২৩)