ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুয়াংতোং পরিদর্শনে সি চিন পিং : সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে নতুন গতি আনতে হবে Logo চীন-জর্জিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব শক্তিশালী হচ্ছে : জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী Logo কিস্তির জন্য গৃহবধূর আংটি-বদনা নিয়ে গেলেন এনজিওকর্মী Logo লাকসামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবীতে বিসিএস প্রভাষকদের মানবন্ধন Logo কাচপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে ২ হাজার কেজি জাটকা জব্দ Logo মালদ্বীপে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo বিএনপির ৬২ জন কর্মীর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান Logo গলায়, নাকে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন, ব্রাহ্মণপাড়ায় কন্যা শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু Logo সেন্টমার্টিনে ১ টি অবৈধ আর্টিসনাল ট্রলিং বোট ও থাই জালসহ ১৯ জন আটক

সরাইলে ফয়সাল হত্যা

আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ফয়সাল হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সরাইল এলাকাবাসীর ব্যানারে হাসপাতাল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা চত্তরে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
মানবন্ধনে নিহত ফয়সালের বাবা রাকিব মিয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান। তিনি বলেন আমার ছেলে সরাইল কলেজের ছাত্র ছিলেন, সে তার মামার ব্যবসা দেখা শুনা করতো। গত ১৪ এপ্রিল কালিকচ্ছের ধর্মতীর্থ ও সূর্যকান্দি এলাকার মানুষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ঘাতক দের গুলিতে আমার ছেলে মারা যায়। এই ঘটনায় ৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। অদৃশ্য কারণে আসামিরা গ্রেফতার এড়িয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে এলাকার সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।

উল্লেখ্য: গত ১৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা’র কালিকচ্ছ ইউনিয়নের দুই গ্রামের সংঘর্ষে নিহত ফয়সালের বাবা মো. রাকিব মিয়া বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গত ২৪ এপ্রিল সোমবার আদালতে দায়ের করা (জিআর-৭৭/২৩) ওই মামলায় কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদ হোসেনসহ ২৮জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে এই ঘটনায় নিহতের চাচা কুট্রাপাড়া গ্রামের মাফুজ মিয়া বাদী হয়ে গত ১৬ এপ্রিল রোববার কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যন ও জিহাদ দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

একই ঘটনায় প্রথমে নিহতের চাচা ও পরে পিতা বাদী হয়ে পরপর দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে এই নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান হারুনীসহ একাধিক ব্যক্তির বক্তব্যের ভিন্নতা দিনদিন স্পষ্ট হয়ে ওঠছে। ফয়সালকে কে বা কারা গুলি করেছে? কেন গুলি করেছে? গুলি নাকি ককটেল বিস্ফোরণের কারণে ফয়সাল খুন হয়েছে? পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো কাটছে না ধূম্রজাল। তবে চিকিৎসক বলছেন এ গুলি ছুড়রা গুলি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক লোক বলছেন, ছোট এই ঘটনাটিকে রহস্যজনক কারণে বড় করেছে তৃতীয় একটি পক্ষ। কার সাথে কোন সময় তর্ক হয়েছে। উচ্চবাচ্য হয়েছে। বাক-বিতন্ডা হয়েছে। স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় কথা কাটাকাটি হয়েছে। ছোটখাট ঘটনায় মামলা ছিল। এসব বিষয় মাথায় রেখে কৌশলে অনেক নিরপরাধ ও নিরীহ লোককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। আল্লাহ এসব সহ্য করবেন না।

আপলোডকারীর তথ্য

কুয়াংতোং পরিদর্শনে সি চিন পিং : সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে নতুন গতি আনতে হবে

SBN

SBN

সরাইলে ফয়সাল হত্যা

আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৮:৫৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ফয়সাল হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সরাইল এলাকাবাসীর ব্যানারে হাসপাতাল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা চত্তরে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
মানবন্ধনে নিহত ফয়সালের বাবা রাকিব মিয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান। তিনি বলেন আমার ছেলে সরাইল কলেজের ছাত্র ছিলেন, সে তার মামার ব্যবসা দেখা শুনা করতো। গত ১৪ এপ্রিল কালিকচ্ছের ধর্মতীর্থ ও সূর্যকান্দি এলাকার মানুষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ঘাতক দের গুলিতে আমার ছেলে মারা যায়। এই ঘটনায় ৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। অদৃশ্য কারণে আসামিরা গ্রেফতার এড়িয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে এলাকার সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।

উল্লেখ্য: গত ১৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা’র কালিকচ্ছ ইউনিয়নের দুই গ্রামের সংঘর্ষে নিহত ফয়সালের বাবা মো. রাকিব মিয়া বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গত ২৪ এপ্রিল সোমবার আদালতে দায়ের করা (জিআর-৭৭/২৩) ওই মামলায় কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদ হোসেনসহ ২৮জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে এই ঘটনায় নিহতের চাচা কুট্রাপাড়া গ্রামের মাফুজ মিয়া বাদী হয়ে গত ১৬ এপ্রিল রোববার কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যন ও জিহাদ দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

একই ঘটনায় প্রথমে নিহতের চাচা ও পরে পিতা বাদী হয়ে পরপর দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে এই নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান হারুনীসহ একাধিক ব্যক্তির বক্তব্যের ভিন্নতা দিনদিন স্পষ্ট হয়ে ওঠছে। ফয়সালকে কে বা কারা গুলি করেছে? কেন গুলি করেছে? গুলি নাকি ককটেল বিস্ফোরণের কারণে ফয়সাল খুন হয়েছে? পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো কাটছে না ধূম্রজাল। তবে চিকিৎসক বলছেন এ গুলি ছুড়রা গুলি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক লোক বলছেন, ছোট এই ঘটনাটিকে রহস্যজনক কারণে বড় করেছে তৃতীয় একটি পক্ষ। কার সাথে কোন সময় তর্ক হয়েছে। উচ্চবাচ্য হয়েছে। বাক-বিতন্ডা হয়েছে। স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় কথা কাটাকাটি হয়েছে। ছোটখাট ঘটনায় মামলা ছিল। এসব বিষয় মাথায় রেখে কৌশলে অনেক নিরপরাধ ও নিরীহ লোককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। আল্লাহ এসব সহ্য করবেন না।