
গাজীপুরের ভবানীপুর রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট (সিলভার রেইন) গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোর আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি ইনচার্জ মোঃ জিহাদ ও সিকিউরিটি গার্ড জ্যাক’কে গুরুতর আহত করে জেনারেটর চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলেও রহস্যজনক কারনে মামলা নেয়নি জয়দেবপুর থানা পুলিশ। এর আগেও গত ৮তারিখে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে হামলা করে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। হাতে নাতে পুলিশ তাদের ধরলেও অজ্ঞাত কারনে ছেড়ে দেয়। যা নিয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
প্রতিষ্ঠানের কর্তব্যরত ম্যানেজার মোঃ মীর হোসেন মোল্লা জানান- প্রতিদিনের ন্যায় তাদের ডিউটি ছিল ৬নং ভবনের সামনে। ঐ সময় ভোর ৪ ঘটিকার সময় মোঃ সজীব ও আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে অজ্ঞাত আরো ৪/৫জন তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং একটি টাইগার ব্রান্ডের জেনারেটর চুরি করে নিয়ে যায়।
হামলায় গুরুতর আহত জাহিদ ও জ্যাককে ঐ দিন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সিকিউরিটি ইনচার্জ মোঃ জিহাদের বাম পায়ে রডের আঘাতের কারণে পায়ের ঘোরালি ফেটে যায় এবং প্লাস্টার করা হয়।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা রুজু করতে গেলে অফিসার ইনচার্জ মাহতাব উদ্দিন সময় ক্ষেপন করতে থাকেন।
জানা যায়- অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা অবৈধ প্রভাব বিস্তারের কারনে থানায় পুলিশ মামলা নিয়ে তালবাহানা করেন।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহতাব উদ্দিনের সাথে কথা বললে- তিনি বলেন এই বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আকতার হোসেন সাদ্দাম বলেন- পুলিশ জনগণের বন্ধু হবে। একটা মানুষ বিপদে পড়লেই থানায় যায়। কিন্তু থানা যদি হাইকোর্ট দেখিয়ে দেয় তাহলে মানুষ কোথায় যাবে? আমরা ন্যায় বিচার চাই।