
কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামার মালিক ও গৃহস্তরা। এবার ঈদে প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৬২২টি গবাদিপশু। চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯২৩। চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুদ থাকা সত্বেও দাম বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতা।
কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কক্সবাজার জেলায় কোরবানিযোগ্য ১ লাখ ৫১ হাজার ৬২২টি পশু রয়েছে। এই পশুগুলোর মধ্যে গরু (ষাঁড়, বলদ, গাভী) ১ লাখ ৪৫২টি, মহিষ ৫ হাজার ৯৪টি, ছাগল ৩৫ হাজার ৪০৭টি, ভেড়া ১০ হাজার ৬৬৯টি।
জেলায় স্থায়ী হাটের সংখ্যা ১৪ ও অস্থায়ী ৩৫টি। মোট ৪৯টি হাট রয়েছে। আর মেডিকেল টিম রয়েছে ২৭টি। এসব হাটে কোরবানিযোগ্য পশুগুলো বিক্রির জন্য তোলা হবে। ইতোমধ্যে স্থায়ী কিছু হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে।
টেকনাফের গরু ব্যবসায়ী নুর হোসেন বলেন, এবছর প্রচুর পরিমাণ পশু খামারে মজুদ করা হয়েছে। ছোট-বড় ও মাঝারি বিভিন্ন রকমের পশু পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি গরু হাটে তোলা হয়েছে।
কক্সবাজারের উখিয়া টিভি টাওয়ার বাজারে গরু কিনতে আসা আমিন, মোহাম্মদ ইউনুস ও মুবিন জানান, বিক্রেতারা পশুর দাম বেশি চায়। এ বছর পশুর দাম গেল বছরের চেয়ে বেশি মনে হচ্ছে। গরু একটু সুন্দর ও মোটাতাজা হলে দাম আরও বেড়ে যায়। জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু থাকার পরেও সংকট দেখিয়ে বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারের উখিয়া থাইংখালি গরু বাজার থেকে ক্রেতা মোজাহের আহমদ জানান, গেল বছরের চেয়ে এই বছর গরুর দাম বেশি। যে গরু গত বছর ১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, একই গরু এখন বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ -৩০ হাজার বেশি দামে।
কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন জানান, কক্সবাজারে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর অনেক বেশি পশুর যোগান রয়েছে। যা চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতে পাঠানো সম্ভব হবে। গবাদিপশুকে যেন কোনো প্রকার রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার না করে সেজন্য আমরা খামারি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে প্রচারণা চালিয়েছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঈদুল আজহার হাট পুরোদমে শুরু হলে প্রতি হাটে মেডিকেল টিম বসানো হবে।