ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুয়াতে প্রথম ১১ টি ঔষধিগুণ সম্পূর্ণ ব্ল্যাক রাইস চাষ

চাঁদপুরস্থ কচুয়া উপজেলায় প্রথম বারের মতো চাষ হচ্ছে ঔষুধিগুণ সম্পন্ন ‘ব্ল্যাক রাইস’ বা কালো ধান। এই ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ান। ব্যতিক্রম এই ধানক্ষেত এক ঝলক দেখতে প্রতিনিধি ভিড় করেন কৌতুহলী মানুষ। এর চালে রয়েছে ১১ টি ঔষধিগুণ, প্রচুর ভিটামিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড, কপার, জিঙ্ক, ফাইবারের মাত্রাও বেশ। এই ব্ল্যাক রাইস ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধে ভ‚ মিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ানের সফলতা দেখতে ছুটে যাচ্ছেন স্থানীয় অন্যান্য কৃষকেরা। তারাও কালো ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। বাজারে এ কালো ধানের চালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ও কৃষি বিভাগের সহায়তা পেলে আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে কালো ধান চাষের পরিকল্পনা করছেন কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ান।

চাঁদপুর জেলা পালাখাল মডেল ইউনিয়নের পালাখাল তার গ্রাম। এ গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ৫৪ শতাংশ জমিতে বø্যাক রাইস প্রজাতির ধান চাষ করেছেন উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ান। দেশি জাতের ধানের মতো একই প্রক্রিয়ায় এ কালো ধান চাষ করা হয়।

গত বেশ কিছু বছর ধরে ধান, পাট, গমসহ নানা রকমের সবজির চাষ করেন সোহেল দেওয়ান। চলতি মৌসুমে ইউটিউব দেখে আগ্রহী হয়ে ব্ল্যাক রাইস জাতের ধানের বীজ সংগ্রহ করে নিজ জমিতে রোপণ করেন তিনি। এতে বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছেন সোহেল দেওয়ান।

কচুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্লাভিনয়ের্ড বা এনথোসায়ানিন খুব বেশি পরিমাণে থাকায় এ চালের রঙ কালো হয়। এ উপাদানটির কারণে ক্যানসার, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে প্রতিহত করতে সহায়তা করে। কালো চাল ক্যানসার প্রতিরোধে অনন্য। এ চালে আয়রন বেশি, কিন্তু শর্করা কম। আর এ চালের ভাত অনেক বেশি পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর। কালো ধানে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ান বলেন, ধানের বীজ ১২০০ টাকা কেজি কিনেছি। চাউল ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে পারলে আমি লাভ করতে পারবো। আগামীতে আমি আরও বেশি কালো ধান চাষ করবো। ইউটিউবে দেখে আগ্রহী হয়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমি এ ধান চাষ শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ সহনশীল বলে প্রমাণিত এ ব্ল্যাক রাইসের চাল একটু মোটা। কৃষি অফিস সব সময় পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা করেছে। তারা আমার এ ধানকে বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

স্থানীয়রা বলেন, সোহেল দেওয়ান একজন কৃষি উদ্যোক্তা। কচুয়াতে তিনি প্রথম ব্ল্যাক রাইস ধানের চাষ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। ফলনও ভালো হয়েছে। তার ধান নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। ধানের বাজার মূল্য ভালো হলে অনেক কৃষক এ ধান চাষে আগ্রহী হবেন।

আপলোডকারীর তথ্য

কচুয়াতে প্রথম ১১ টি ঔষধিগুণ সম্পূর্ণ ব্ল্যাক রাইস চাষ

আপডেট সময় ০১:৩২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

চাঁদপুরস্থ কচুয়া উপজেলায় প্রথম বারের মতো চাষ হচ্ছে ঔষুধিগুণ সম্পন্ন ‘ব্ল্যাক রাইস’ বা কালো ধান। এই ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ান। ব্যতিক্রম এই ধানক্ষেত এক ঝলক দেখতে প্রতিনিধি ভিড় করেন কৌতুহলী মানুষ। এর চালে রয়েছে ১১ টি ঔষধিগুণ, প্রচুর ভিটামিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড, কপার, জিঙ্ক, ফাইবারের মাত্রাও বেশ। এই ব্ল্যাক রাইস ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধে ভ‚ মিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ানের সফলতা দেখতে ছুটে যাচ্ছেন স্থানীয় অন্যান্য কৃষকেরা। তারাও কালো ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। বাজারে এ কালো ধানের চালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ও কৃষি বিভাগের সহায়তা পেলে আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে কালো ধান চাষের পরিকল্পনা করছেন কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ান।

চাঁদপুর জেলা পালাখাল মডেল ইউনিয়নের পালাখাল তার গ্রাম। এ গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ৫৪ শতাংশ জমিতে বø্যাক রাইস প্রজাতির ধান চাষ করেছেন উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ান। দেশি জাতের ধানের মতো একই প্রক্রিয়ায় এ কালো ধান চাষ করা হয়।

গত বেশ কিছু বছর ধরে ধান, পাট, গমসহ নানা রকমের সবজির চাষ করেন সোহেল দেওয়ান। চলতি মৌসুমে ইউটিউব দেখে আগ্রহী হয়ে ব্ল্যাক রাইস জাতের ধানের বীজ সংগ্রহ করে নিজ জমিতে রোপণ করেন তিনি। এতে বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছেন সোহেল দেওয়ান।

কচুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্লাভিনয়ের্ড বা এনথোসায়ানিন খুব বেশি পরিমাণে থাকায় এ চালের রঙ কালো হয়। এ উপাদানটির কারণে ক্যানসার, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে প্রতিহত করতে সহায়তা করে। কালো চাল ক্যানসার প্রতিরোধে অনন্য। এ চালে আয়রন বেশি, কিন্তু শর্করা কম। আর এ চালের ভাত অনেক বেশি পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর। কালো ধানে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ান বলেন, ধানের বীজ ১২০০ টাকা কেজি কিনেছি। চাউল ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে পারলে আমি লাভ করতে পারবো। আগামীতে আমি আরও বেশি কালো ধান চাষ করবো। ইউটিউবে দেখে আগ্রহী হয়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমি এ ধান চাষ শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ সহনশীল বলে প্রমাণিত এ ব্ল্যাক রাইসের চাল একটু মোটা। কৃষি অফিস সব সময় পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা করেছে। তারা আমার এ ধানকে বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

স্থানীয়রা বলেন, সোহেল দেওয়ান একজন কৃষি উদ্যোক্তা। কচুয়াতে তিনি প্রথম ব্ল্যাক রাইস ধানের চাষ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। ফলনও ভালো হয়েছে। তার ধান নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। ধানের বাজার মূল্য ভালো হলে অনেক কৃষক এ ধান চাষে আগ্রহী হবেন।