ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ‘ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত ৬১০, আহত প্রায় ৫ হাজার’ Logo ‘নিবন্ধন ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরে পেল জামায়াত’ Logo ‘ইরানে শাসন পরিবর্তনে আগ্রহ নেই: পরস্পরবিরোধী বক্তব্য ট্রাম্পের’ Logo বাঘাইছড়িতে বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আশিকার মানবিক সহায়তা Logo সাংবাদিক সোহাগ আরেফিন এর মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা : বিএমইউজে’র নিন্দা ও প্রতিবাদ Logo ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কের বুড়িচংয়ে ট্রাক চাপায় স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী আহত Logo নালিতাবাড়ী সীমান্তে অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ Logo মোংলায় স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত Logo কচুয়ায় শিক্ষার্থী হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন Logo শাহরাস্তিতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ৪

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি এডিসির, অডিও ভাইরাল

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। দুই কর্মকর্তার কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক অডিও ক্লিপে শোনা গেছে, একজন সরকারি কর্মকর্তা অন্য কর্মকর্তাকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে এমন একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

 

অডিওতে শোনা যায়, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) মো. তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন। এ অডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনিক শৃঙ্খলা, আচরণবিধি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

অডিওতে আরও শোনা যায়, কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন নির্ধারিত কাগজপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন; কিন্তু অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বারবার তার কথার মধ্যে বাধা দেন এবং রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন- ‘তুমি বেয়াদবি করছো’। এ সময় আরও বলেন- ‘আমি তোমাকে এখনই গ্রেফতার করতে পারি।’ এ ধরনের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলখানার পেছনে আমাদের ডিসি পার্কের কাজ চলছিল। তারা জেলখানা থেকে বেরিয়ে এসে জেল সুপারের নির্দেশে ভেকুওয়ালাকে মারধর করেছে। আমাদের স্টাফ যাওয়ার পর তাকেও মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে এডিসি এবং এনডিসি ঘটনাস্থলে যান।

তিনি বলেন, এডিসি সাহেব তখন এডিএমের দায়িত্বে ছিলেন। ওনার লোকজনকে নিয়ে এ কথাগুলো বলেছে। তখন জেল সুপার কথাগুলো রেকর্ড করেছেন। এ রেকর্ড বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল করেছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত ৬১০, আহত প্রায় ৫ হাজার’

SBN

SBN

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি এডিসির, অডিও ভাইরাল

আপডেট সময় ১২:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। দুই কর্মকর্তার কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক অডিও ক্লিপে শোনা গেছে, একজন সরকারি কর্মকর্তা অন্য কর্মকর্তাকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে এমন একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

 

অডিওতে শোনা যায়, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) মো. তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন। এ অডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনিক শৃঙ্খলা, আচরণবিধি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

অডিওতে আরও শোনা যায়, কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন নির্ধারিত কাগজপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন; কিন্তু অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বারবার তার কথার মধ্যে বাধা দেন এবং রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন- ‘তুমি বেয়াদবি করছো’। এ সময় আরও বলেন- ‘আমি তোমাকে এখনই গ্রেফতার করতে পারি।’ এ ধরনের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলখানার পেছনে আমাদের ডিসি পার্কের কাজ চলছিল। তারা জেলখানা থেকে বেরিয়ে এসে জেল সুপারের নির্দেশে ভেকুওয়ালাকে মারধর করেছে। আমাদের স্টাফ যাওয়ার পর তাকেও মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে এডিসি এবং এনডিসি ঘটনাস্থলে যান।

তিনি বলেন, এডিসি সাহেব তখন এডিএমের দায়িত্বে ছিলেন। ওনার লোকজনকে নিয়ে এ কথাগুলো বলেছে। তখন জেল সুপার কথাগুলো রেকর্ড করেছেন। এ রেকর্ড বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল করেছেন।