মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি: স্বাধীনতার মহান স্বপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ১২ আগস্ট সকালে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস কুমিল্লা।
জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) সালমা ফেরদৌস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আসাদুজ্জামান, জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সামছুজ্জামান, সাংবাদিক আবুল হাসনাত বাবুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সালমা ফেরদৌস বলেন, বঙ্গবন্ধু যতগুলি বই লিখেছেন, প্রত্যেকটি বইয়ে নিখুঁতভাবে জীবনদর্শন ব্যাখ্যা করেছেন। বঙ্গবন্ধু যে দৃষ্টিভঙ্গি, ৭ই মার্চের ভাষণটি দু পৃষ্ঠার একটি ভাষণ। এটি পুরোটাই একটি জীবনদর্শন। একটি জাতিকে চেঞ্জ করার জন্য প্রতিটি লাইন অক্ষর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি লাইনকে তিন পৃষ্ঠায় ব্যাখ্যা করা যাবে।
কারাগারে বসে যে বইগুলো তিনি লিখেছেন, প্রতিটি লাইনে লাইনে সমাজ সম্পর্কে লেখা, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লেখা। কতটা দুরদৃষ্টি সম্পন্ন একটা লোক ছিলেন তিনি। প্রতিটা ক্ষেত্রেই উনাকে নিয়ে যদি আমরা ব্যাখ্যা করি, উনি মানুষ হিসেবে কেমন? আমাদের কাছে মনে হবে এর চেয়ে দুরদৃষ্টি সম্পন্ন আর কোন মানুষের দৃষ্টি হতে পারে না।
বঙ্গবন্ধুর মানবিক বিষয় গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রায় ২-৪ লক্ষ নিরীহ নারী পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা ধর্ষিত হয়। তিনি যুদ্ধকালীন লাঞ্ছিত, নির্যাতিত নারীদের অবদানকে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি প্রদানস্বরূপ “বীরাঙ্গনা” খেতাব দিয়েছিলেন এবং বীরাঙ্গনাদেরকে নিজের মেয়ে হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের খুব ভালবাসতেন। সবাইকে তিনি আপন করে নিতেন। এজন্য আমরা তার জন্ম দিনটা জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবে পালন করি।
এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি জাতিকে কিভাবে ভালো বেসেছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.