
স্টাফ রিপোর্টার: কুরিয়ার সার্ভিস ২৪ লি: এর মাধ্যমে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন আহমদ চুপ্পুর সাথে একটি ছবি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একজন শিবের নেতা কি ভাবে দেশের রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেন। চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর ৮মার্ডার মামলার অন্যতম আসামী রেজাউল অভিনব পন্থা অবলম্বন করে সাক্ষাৎ করেন। তার এই ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
যা নিয়ে নীটিজনরা নানা ধরনের বিরুপ মন্তব্য করছেন।
কিভাবে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেন। এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, তথ্য গোপন করে তিনি মহামাণ্য রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেন এবং উক্ত ছবি প্রতারণার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন।
কুমিল্লার লাকসামের রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের সাথে বহুমূখী প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে। একসময়ের শিবির ক্যাডার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরে সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
জানা যায় ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আত্নগোপনে চলে যায় সে।
পরিস্থিতি শান্ত হলে দেশে এসে মুহাঃ রেজাউল করিম অবশেষে নতুন প্রতারনার ফাঁদ পেতেছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর রাজধানীর মতিঝিলের মডার্ন ম্যানসনে অফিস স্থাপন করে কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যাবসা পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে এজেন্ট নিয়োগ করছে, এজেন্ট নিয়োগ দিতে প্রতি এজেন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার জামানত নিচ্ছে। এটা তার নতুন ফাঁদ, এ পক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়।
সাবেক শিবির ক্যাডার থাকার সুবাদে তার প্রতারনার টার্গেট হচ্ছে শিবিরের বেকার কর্মীরা। ইতিমধ্যেই অসংখ্য শিবির কর্মী তার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথে পথে ঘুরছে বলে জানা গেছে। এক পর্যায়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়েও শুরু করে নতুন প্রতারনার ফাঁদ, প্রবাসী শিবির কর্মীদের টার্গেট করে, সৌদি আরবের রিয়াদে প্রতিষ্ঠা করে ‘আন-নাখিল’ নামে একটি হাসপাতাল। একই কায়দায় ঐ হাসপাতালের শেয়ার বিক্রি করে প্রবাসীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। এক পর্যায়ে সকল টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে আসে। হাসপাতালটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। এখন আবার কুরিয়ার সার্ভিস? এজেন্সির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা? যার কাছে হাজার হাজার মানুষের কোটি কোটি টাকা পাওনা – সে ঐ টাকা না দিয়ে নূতন করে এজেন্সি দেওয়ার নাম করে নতুন প্রতারনার ফাঁদ? শুধু আইসিএল নাম একটি কোম্পানি চৌদ্দ কোটি তেষট্টি লক্ষ টাকার মামলা করেন এই তার বিরুদ্ধে। যা এখনো চলমান রয়েছে। মামলা নং- সি.আর-৯৫৩, ৯৫৯, ৯৮৩, ৯৮৫, ৯৮৬, ৯৮৮/১৭, ১৪৭৬/১৯, সিএমএম, ঢাকা
এছাড়া দেশের বিভিন্ন আদালতে অসংখ্য প্রতারনার মামলা রয়েছে।