
মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো
দিনের বেলায় শুনসান নিরবতা, সন্ধ্যা গড়িয়ে একটু অন্ধকার হলেই শুরু হয় মাটি বিক্রির মহাউৎসব। ১০থেকে ১৫টি ভেকু মেশিন অর্ধশত কাঁকড়া গাড়ি একের পর এক মাটি ভর্তি গাড়ি চলে যাচ্ছে ইটভাটায় অন্যদিকে চলাচলের অযোগ্য কর্দমাক্ত মহাসড়ক যেনো মরনফাঁদ।
এভাবেই গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাশে মাটিকাটা রাজাবাড়ি, ছয়ঘাটি, জিয়োলমারি, চৈতন্যপুরে চলছে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রির বিশাল কর্মযজ্ঞ।
গণমাধ্যম কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিতে দিনের আলোর বদলে রাতের অন্ধকারকে বেছে নিয়েছে পুকুর খেকোরা। রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পুকুর খননে প্রশাসনের ভূমিকাও রহস্যজনক। উপজেলা প্রশাসনকে বলেও কোনো প্রকার প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। উপজেলা প্রশাসন বলছে এমন কোন অভিযোগ জানা নেই অথচ জমি এবং পুকুর মালিক বলছেন সব ম্যানেজ করা আছে।
অভিযোগ ওঠেছে, পুকুর খননে ভূমির শ্রেনী পরিবর্তনসহ নানান জটিলতা থাকলেও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুকুর খনন করছেন এবং জমি কেটে ভাটায় বিক্রি করছেন গোদাগাড়ী উপজেলার প্রভাবশালী অনেক ব্যাক্তি। গোদাগাড়ী উপজেলার ইউএনও, এসিল্যান্ড টাকার বিনিময়ে ফসলি জমি এবং পুকুর খননের অনুমতি দিচ্ছেন প্রভাবশালীদের। ফসলি জমি কাটা এবং পুকুর খননের কথা বললে পাত্তাই দিচ্ছেনা গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসন।
শীত মৌসুমের শুরুতেই ভূমি ও ফসলি জমি সুরক্ষা আইন উপেক্ষা করে গোদাগাড়ী উপজেলার প্রায় ৫০০বিঘা জমিতে সংস্কারের নামে চলছে ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি। সংস্কারের নামে ফসলি জমিতে পুকুর খনন এতে একদিকে যেমন খাদ্য শস্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে, অন্য দিকে মাটি পরে কর্দমাক্ত হয়ে নষ্ট হচ্ছে মহাসড়ক। চরম দূর্ভোগে পরছেন পথচারীরা।
এ বিষয়ে ফসলি জমি এবং পুকুর খননকারীরা জানান, আমাদের জমি এবং পুকুর খনন কেউ বন্ধ করতে পারবেনা আমাদের সব অনুমতি আছে। প্রশাসনকে আমরা মেনেজ করেই জমি এবং পুকুর খনন করছি।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত বলেন, আপনি একটা লিখিত অভিযোগ দেন আমরা ব্যবস্থা নিবো। ইউএনও কে যে কোনো বিষয়ে অভিযোগ জানালে কোনো প্রকার ব্যাবস্থা না নিয়ে তিনি বলেন অফিসে আসেন সাক্ষাতে কথা বলবো।