ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের অপেক্ষায় কুমিল্লার রসমালাই

জিআই বা বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অনুমোদনের অপেক্ষায় কুমিল্লার রসমালাই।

মঙ্গলবার জিআই পণ্য হিসেবে রসমালাই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।

এছাড়াও বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পন্য বা জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য আরও ১৭টি পন্যের আবেদন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মেধাসত্ত্ব কর্তৃপক্ষ এই ভোগলিক নিদের্শক বা জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন পণ্যের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। এর আগে জামদানি, ক্ষীরসাপাতি ও ফজলি আম, ইলিশ, কালজিরা ধানসহ ১১ পণ্য বাংলাদেশী জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, কুমিল্লা একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। কুমিল্লার অনেক কিছুরই সুনাম সারাবিশ্ব ব্যাপী রয়েছে। কুমিল্লার রসমালাই, মৃৎশিল্প এবং খাদি কাপড়ের পরিচয় সারা পৃথিবী জোড়া। রসমালাই যেন বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে শিল্পমন্ত্রনালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। শুনানি শেষে আমরা আশা করি স্বীকৃতি পাবো। মৃৎশিল্প এবং খাদিকে নিয়েও কাজ চলছে।

মঙ্গলবার ই-কর্মার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের একটি প্রতিনিধি দল কুমিল্লার থেকে জিআই পণ্য হিসেবে মৃৎশিল্প এবং রসমালাই এর তথ্য ও প্রমাণ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের হাতে তুলে দেন। জেলা প্রশাসক তথ্য যাচাই শেষে ই-কর্মার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের মাধ্যমে এই আবেদন বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রনালয়ের প্যাটেন্ট ডিজাইন এণ্ড ট্রেডমার্ক বিভাগের রেজিষ্ট্রার বরাবর প্রেরণ করেন। এই আনুষ্ঠানিকতায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক পঙ্কজ বড়ুয়া, এনডিসি কানিজ ফাতেমা, জেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবেদ আলী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা সাহেব আলী। ই-কমার্স ডেভলপমেন্ট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদারের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিগার ফাতেমা, কোষাধ্যক্ষ উম্মে সাহারা এনিকা, সদস্য আরজেনা হক সেবতি ও আইরিন আক্তার রিতা।
ই-কমার্স ডেভলপমেন্ট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদার বলেন, আমরা ১৮টি পণ্যের ডকুমেন্টেশন করে সহায়ক হিসেবে কাজ করছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কুমিল্লার রসমালাই, নাটোরের কাচাগোল্লা, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, সিলেটের মনিপুরী পণ্য, মৌলভীবাজারের আগরসহ বিভিন্ন পণ্যের তথ্য ও প্রমান সংগ্রহ করে আমরা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করছি।

তিনি আরো বলেন, কুমিল্লার রসমালাই জিআই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবার জন্য যে কয়টি শর্ত মানতে হয়- তার সবগুলোরই আমরা ডকুমেন্টেশন করেছি। আশা করি স্বীকৃতি পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, রসমালাই কুমিল্লার মিষ্টান্ন হিসেব বাংলাদেশ তথা সারাপৃথিবীতেই পরিচিত। কুমিল্লায় এই মিষ্টান্নের রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। রসমালাইয়ের খ্যাতির জন্য কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি দোকান মাতৃভাণ্ডারে লাইন ধরে থাকেন ক্রেতারা। এছাড়া জলযোগ, শীতল ভাণ্ডার, পেড়া ভান্ডারসহ কুমিল্লার অন্যান্য দোকানের রসমালাইয়েরও রয়েছে বিশেষ চাহিদা। তবে কুমিল্লার বিশিষ্টজনেরা বলেন, কুমিল্লার রসমালাইয়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভেজাল পণ্য দিয়ে মানহীন রসমালাই বানিয়ে মাতৃভাণ্ডার বা অন্যান্য দোকানের নাম ব্যবহার করে মহাসড়ক বা স্টেশন গুলোতে বিক্রি করেন। এতে করে কুমিল্লার যে আসল রসমালাই তার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত জিআই পণ্য হিসেবে রসমালাই স্বীকৃতি আদায়ের সাথে সাথে এর সুনাম রক্ষায় ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুলবাড়ী পৌরসভায় মশা নিধন কার্যক্রম শুরু

SBN

SBN

জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের অপেক্ষায় কুমিল্লার রসমালাই

আপডেট সময় ০৬:৪৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

জিআই বা বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অনুমোদনের অপেক্ষায় কুমিল্লার রসমালাই।

মঙ্গলবার জিআই পণ্য হিসেবে রসমালাই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।

এছাড়াও বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পন্য বা জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য আরও ১৭টি পন্যের আবেদন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মেধাসত্ত্ব কর্তৃপক্ষ এই ভোগলিক নিদের্শক বা জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন পণ্যের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। এর আগে জামদানি, ক্ষীরসাপাতি ও ফজলি আম, ইলিশ, কালজিরা ধানসহ ১১ পণ্য বাংলাদেশী জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, কুমিল্লা একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। কুমিল্লার অনেক কিছুরই সুনাম সারাবিশ্ব ব্যাপী রয়েছে। কুমিল্লার রসমালাই, মৃৎশিল্প এবং খাদি কাপড়ের পরিচয় সারা পৃথিবী জোড়া। রসমালাই যেন বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে শিল্পমন্ত্রনালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। শুনানি শেষে আমরা আশা করি স্বীকৃতি পাবো। মৃৎশিল্প এবং খাদিকে নিয়েও কাজ চলছে।

মঙ্গলবার ই-কর্মার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের একটি প্রতিনিধি দল কুমিল্লার থেকে জিআই পণ্য হিসেবে মৃৎশিল্প এবং রসমালাই এর তথ্য ও প্রমাণ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের হাতে তুলে দেন। জেলা প্রশাসক তথ্য যাচাই শেষে ই-কর্মার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের মাধ্যমে এই আবেদন বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রনালয়ের প্যাটেন্ট ডিজাইন এণ্ড ট্রেডমার্ক বিভাগের রেজিষ্ট্রার বরাবর প্রেরণ করেন। এই আনুষ্ঠানিকতায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক পঙ্কজ বড়ুয়া, এনডিসি কানিজ ফাতেমা, জেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবেদ আলী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা সাহেব আলী। ই-কমার্স ডেভলপমেন্ট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদারের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিগার ফাতেমা, কোষাধ্যক্ষ উম্মে সাহারা এনিকা, সদস্য আরজেনা হক সেবতি ও আইরিন আক্তার রিতা।
ই-কমার্স ডেভলপমেন্ট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদার বলেন, আমরা ১৮টি পণ্যের ডকুমেন্টেশন করে সহায়ক হিসেবে কাজ করছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কুমিল্লার রসমালাই, নাটোরের কাচাগোল্লা, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, সিলেটের মনিপুরী পণ্য, মৌলভীবাজারের আগরসহ বিভিন্ন পণ্যের তথ্য ও প্রমান সংগ্রহ করে আমরা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করছি।

তিনি আরো বলেন, কুমিল্লার রসমালাই জিআই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবার জন্য যে কয়টি শর্ত মানতে হয়- তার সবগুলোরই আমরা ডকুমেন্টেশন করেছি। আশা করি স্বীকৃতি পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, রসমালাই কুমিল্লার মিষ্টান্ন হিসেব বাংলাদেশ তথা সারাপৃথিবীতেই পরিচিত। কুমিল্লায় এই মিষ্টান্নের রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। রসমালাইয়ের খ্যাতির জন্য কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি দোকান মাতৃভাণ্ডারে লাইন ধরে থাকেন ক্রেতারা। এছাড়া জলযোগ, শীতল ভাণ্ডার, পেড়া ভান্ডারসহ কুমিল্লার অন্যান্য দোকানের রসমালাইয়েরও রয়েছে বিশেষ চাহিদা। তবে কুমিল্লার বিশিষ্টজনেরা বলেন, কুমিল্লার রসমালাইয়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভেজাল পণ্য দিয়ে মানহীন রসমালাই বানিয়ে মাতৃভাণ্ডার বা অন্যান্য দোকানের নাম ব্যবহার করে মহাসড়ক বা স্টেশন গুলোতে বিক্রি করেন। এতে করে কুমিল্লার যে আসল রসমালাই তার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত জিআই পণ্য হিসেবে রসমালাই স্বীকৃতি আদায়ের সাথে সাথে এর সুনাম রক্ষায় ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা।