ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় গোষ্ঠীগত দাঙ্গা দমনের লক্ষ্যে জেলাব্যাপী টেঁটা, বল্লম, ফলা, ছল,রামদা, লাঠিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। একইসঙ্গে দেশীয় অস্ত্র তৈরির বিষয়ে স্থানীয় কামারদের সচেতন করা হচ্ছে। শর্ত জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বাঁশ ব্যবসায়ীদেরও। দাঙ্গা দমনে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে জেলার বিভিন্ন থানায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সরাইল, নাসিরনগর, নবীনগর, আশুগঞ্জসহ বিভিন্ন থানা থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলমান অভিযানে প্রায় ৬ হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন গ্রামে ছোট-বড় সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণহানিসহ সামাজিক সংঘাত-সংঘর্ষ বন্ধে এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে।
এই অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরানোর লক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জয়নাল আবেদীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ‘টেঁটা বল্লম ছুঁড়ে ফেলি, দাঙ্গামুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ি’-আহবানটিও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সচেতন মহলের ধারণা, গ্রামে-গ্রামে নিজেদের প্রভাব বিস্তার ও স্বার্থ হাসিলের হীন উদ্দেশ্যে গোষ্ঠীগত দাঙ্গাবাজদের উস্কে দিয়ে দাঙ্গা বাঁধিয়ে যাচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল। কারো কারো মতে, শুধু অস্ত্র উদ্ধার নয় পাশাপাশি দাঙ্গাবাজ মানসিকতার নির্মূল করতে হবে।
দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান প্রসঙ্গে সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল বলেন, টেঁটা বল্লম উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে লাঠিয়াল দুর্বৃত্তদের চিহৃিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন, সমাজের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বোধ জাগ্রত করতে হবে- লাঠিতে তৈল দেওয়ার দিন শেষ! সময় এখন ভ্রাতৃত্বের-বন্ধনের-ভালোবাসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় জেলার প্রতিটি উপজেলায় দাঙ্গা দমনের কৌশল হিসেবে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে এবং দাঙ্গায় জড়িত হলে আইনের আওতায় আনা হবে।