ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিয়ামতপুরে ঐতিহ্যবাহী তাল পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত Logo রূপসায় শেখ জাকির হোসেন স্মৃতি ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo খালেদা জিয়াকে যারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন তাদের বিচার হবে: জয়নুল আবেদীন ফারুক Logo সিংড়ায় শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে লম্পট পিতা গ্রেপ্তার Logo ফেনীর অপহৃত শিক্ষার্থী গাজীপুর থেকে উদ্ধার,আটক ১ Logo কটিয়াদীতে জমিতে টিউবওয়েল ও টয়লেটের পানিতে ফসলের ক্ষতি Logo বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়মের ফাঁদে ফুলবাড়ীবাসী Logo সাড়ে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo মোংলায় বি এস টি আই এর অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা Logo সাঁথিয়ায় প্রধান শিক্ষককে ঘুষি মারার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড প্রদানে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের স্বার্থে ট্যাক্স বাবদ ৪৬ হাজার টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, ঢোলারহাট ইউনিয়নে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচি (ভিজিডি)’র আওতায় ৯২টি কার্ড বরাদ্দ দেয় সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। এ জন্য অনলাইনে আবেদনকারী দুঃস্থ নারীদের মধ্য হতে উপকারভোগী নির্বাচন করার কথা। এদিকে দুঃস্থ নারীদের নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় জন-প্রতি ৫০০’শ টাকা আদায় করেন। যারা টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় তাদের কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন নারী। ফলে কার্ড বাতিলের ভয়ে তারা টাকা দিতে বাধ্য হন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অখিল চন্দ্র রায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদকে। তার ইচ্ছাই সব হয়। তার ইচ্ছার বাইরে কোনো কাজ হয় না। তিনি তার সমর্থক ছাড়া ইউনিয়নের অন্য নাগরিকদের কোন সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত সহযোগিতা করেন না।

নাম প্রকাশেরঅনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী জানায়, চেয়ারম্যান অখিল রায় টাকা ছাড়া কোন কাজ করে না। তিনি বলেছেন টাকা না দিলে কেউ কার্ড পাবে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার করে চেয়ারম্যানকে টাকা দিছি। ইউনিয়ন পরিষদে কোন কাজ করতে আসলেই আগে টাকার প্রয়োজন হয় তার পর কাজ।

অপরদিকে মানসী রানী নামে ইউপি সদস্যা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে। এতে দোষের কিছু আছে বলে মনে হয় না।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের স্বার্থে ট্যাক্স বাবদ ওই টাকা আদায় করা হয়েছে। রেজুলেশনের মাধ্যমে উন্নয়ন ফি নেওয়া হচ্ছে। দুঃস্থ নারী বা ভিজিডি উপকারভোগী কোন নারী ট্যাক্স এর আওতায় পড়ে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোছাঃ জিন্নাতারা ইয়াছমিন বলেন, ভিজিডি কার্ডধারী নারীদের একাউন্ট খোলার জন্য টাকা নিতে পারে। দুস্থ নারীরা ট্যাক্স এর আওতায় পড়ে কি না সে বিষয়ে তিনি তার অজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ঠাকুরগাঁও স্থানীয় সরকার এর উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রামকৃষ্ণ বর্মন জানান, কার্ডের নাম করে দুঃস্থ নারীদের কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ট্যাক্স নিতে পারে না। টাকা নিয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ামতপুরে ঐতিহ্যবাহী তাল পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:২০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড প্রদানে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের স্বার্থে ট্যাক্স বাবদ ৪৬ হাজার টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, ঢোলারহাট ইউনিয়নে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচি (ভিজিডি)’র আওতায় ৯২টি কার্ড বরাদ্দ দেয় সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। এ জন্য অনলাইনে আবেদনকারী দুঃস্থ নারীদের মধ্য হতে উপকারভোগী নির্বাচন করার কথা। এদিকে দুঃস্থ নারীদের নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় জন-প্রতি ৫০০’শ টাকা আদায় করেন। যারা টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় তাদের কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন নারী। ফলে কার্ড বাতিলের ভয়ে তারা টাকা দিতে বাধ্য হন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অখিল চন্দ্র রায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদকে। তার ইচ্ছাই সব হয়। তার ইচ্ছার বাইরে কোনো কাজ হয় না। তিনি তার সমর্থক ছাড়া ইউনিয়নের অন্য নাগরিকদের কোন সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত সহযোগিতা করেন না।

নাম প্রকাশেরঅনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী জানায়, চেয়ারম্যান অখিল রায় টাকা ছাড়া কোন কাজ করে না। তিনি বলেছেন টাকা না দিলে কেউ কার্ড পাবে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার করে চেয়ারম্যানকে টাকা দিছি। ইউনিয়ন পরিষদে কোন কাজ করতে আসলেই আগে টাকার প্রয়োজন হয় তার পর কাজ।

অপরদিকে মানসী রানী নামে ইউপি সদস্যা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে। এতে দোষের কিছু আছে বলে মনে হয় না।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের স্বার্থে ট্যাক্স বাবদ ওই টাকা আদায় করা হয়েছে। রেজুলেশনের মাধ্যমে উন্নয়ন ফি নেওয়া হচ্ছে। দুঃস্থ নারী বা ভিজিডি উপকারভোগী কোন নারী ট্যাক্স এর আওতায় পড়ে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোছাঃ জিন্নাতারা ইয়াছমিন বলেন, ভিজিডি কার্ডধারী নারীদের একাউন্ট খোলার জন্য টাকা নিতে পারে। দুস্থ নারীরা ট্যাক্স এর আওতায় পড়ে কি না সে বিষয়ে তিনি তার অজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ঠাকুরগাঁও স্থানীয় সরকার এর উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রামকৃষ্ণ বর্মন জানান, কার্ডের নাম করে দুঃস্থ নারীদের কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ট্যাক্স নিতে পারে না। টাকা নিয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।