আজ এই প্রাতে
তোমার বন্দনাগীতি নিয়াছি যে সাথে
সাদরে অঞ্জলি ভরিয়া,
গদ্য পদ্য উপাচারে বহুরূপে
ভক্তিভরে অন্তরে আসন পাতিয়া।
চারিদিকে শত প্রতিকূল
বৈশাখী বাতাসে দোলে তবুও
বেলি ও বকুল,
সন্ধ্যায় আরতি ঘন্টা মন্দিরে বাজে
তোমার গানের কলি আজো আধো আধো লাজে
সন্তর্পনে ষোড়শীর ভাসায় মনের দু’কূল।
ভ্রমর গাহিয়া বেড়ায়
তোমার বন্দনা,
শুনে ঠিক মনে হয় চিরচেনা সুরে
কোন সুদূরের কোনো এক বিরহীরে
আজীবন খুঁজিতেছে অনন্ত আকাশে, কোনো খানে
কে জানে?
কবে হবে পুনর্বার দেখা,
অতৃপ্ত বেদনা ভার, পাখায় বাঁধিয়া তার
পাগলিনী হইয়া ফিরে অমৃত সন্ধানে।
দূর আকাশের তারা
অপলক পাগলপারা, রাতের চাঁদের আলো
উঠুনে নামিয়াছে লোকলজ্জা কলংকের কথা ভুলে,
কালো এলো চুলে, গাঁয়ের নতুন বধূয়া
ঘোমটার আড়ালে মৃদু হাসি তার পড়িয়াছে ঝরিয়া
উথলি পরান নাচে তোমারে ভাবিয়া
অন্তরের অথৈ তলে।
তোমার মহিমা লয়ে
মানুষেরা দেবালয়ে, গাহিতেছে মানবতার গান,
তুমি শুধুই কবি নও
তুমি সকলখানে সকল প্রাণে সঞ্চার করিয়াছো
তোমার ভান্ডারের রত্নরাজি অফুরান।
(আগরতলা ০৯/০৫/২৩ পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষ্যে রচিত। কবিতাটি সম্পাদনা করেছেন কবি নিলয় চৌধুরী)