১১ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীন -ফিলিপিন্স দক্ষিণ চীন সাগর সমস্যা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা প্রক্রিয়া বিষয়ক সম্মেলন, ১১তম বেইজিং সিয়াং সান ফোরাম ও ‘দক্ষিণ চীন সাগরে পক্ষগুলির আচরণের ঘোষণাপত্র (ডিওসি)’ বাস্তবায়নে চীন-আসিয়ান দেশগুলোর ২২তম কর্মকর্তা সম্মেলন আয়োজিত হয়েছে। এসব সম্মেলন শুধু দক্ষিণ চীন সাগর সমস্যাতেই জড়িত নয়, বরং একটি অভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে- সংলাপের মাধ্যমে বিতর্ক সমাধান ও দক্ষিণ চীন সাগরের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা হচ্ছে এ অঞ্চলের নানা দেশ ও অঞ্চলের অভিন্ন প্রত্যাশা। যা আঞ্চলিক স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সিআরআই সম্পাদকীয় এসব কথা বলেছে।
চীন-ফিলিপিন্স দ্বিপাক্ষিক বৈঠক প্রসঙ্গে চীনের খবরে বলা হয়েছে, দু’পক্ষ সিয়ান পিন রিফসহ দক্ষিণ চীন সাগর বিষয়ক সব বিষয়ে আন্তরিক ও গভীর মতবিনিময় করেছে। সিয়ান পিন রিফ সমস্যায় চীন ফের তার অবস্থান ঘোষণা করেছে এবং ফিলিপিন্সকে দ্রুত তার জাহাজ প্রত্যাহার করার তাগিদ দেয়। চীন দৃঢ়ভাবে নিজে সার্বভৌমত্ব ও ‘দক্ষিণ চীন সাগরে পক্ষগুলির আচরণের ঘোষণাপত্র (ডিওসি)’ রক্ষা করবে বলে ঘোষণা করেছে।
বৈঠক থেকে দেখা যায়, ফিলিপিন্স একতরফাভাবে বর্তমান দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয় বিবেচনায় চীন আশা করে ফিলিপিন্সের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে বিতর্ক সমাধান করতে পারবে। ফিলিপিন্সের উচিত দ্রুত ভুল আচরণ ঠিক করা, নিজের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখা এবং ‘দক্ষিণ চীন সাগরে পক্ষগুলির আচরণের ঘোষণাপত্র (ডিওসি)’ অনুসারে চীনের সাথে সংলাপ ও বিনিময় চালানো।
বাস্তবতা বারবার প্রমাণ করেছে যে, সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যায়, সংঘাত ও উস্কানি মাত্রই সমস্যা আরও জোরদার করবে। পাশাপাশি, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বড় দেশের দায়িত্ববোধও সম্মেলনেও আলোচনা করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে, ফিলিপিন্স ঘনঘন দক্ষিণ চীন সাগরে উস্কানি ও সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এ ধারাবাহিক উস্কানির পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজের স্বার্থে ফিলিপিন্সকে উস্কানি দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চীনে সমস্যা সৃষ্টি করতে চেয়েছে।
‘সমন্বয় সবচেয়ে মূল্যবান’- এটা চীনের একটি প্রাচীন নীতিকথা। সিয়াং সান ফোরামে, চীনা প্রতিনিধি এ তিনটি চীনা শব্দের ক্যালিগ্রাফি মার্কিন প্রতিনিধিকে উপহার হিসেবে দেন। যা শান্তির সংকেত দেয়।
বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে, দক্ষিণ চীন সাগরকে একটি শান্তিপূর্ণ, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সাগর হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের জনগণের অভিন্ন ইচ্ছা। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে চীন অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাবে। ফিলিপিন্সের উচিত প্রকৃত অর্থে নিজ দেশের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পথ বাছাই করা।
সূত্র: আকাশ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।