
যশোর প্রতিনিধি : যশোর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল গত দুই বছরে সাড়ে চার শতাধিক (৪৫৬) হারিয়া যাওয়া মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করে ভুক্তভোগিদের হাতে দিয়েছে। এছাড়া বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে ভুলবশত অন্য নম্বরে চলে যাওয়া ৫৪ জনের মোট সাড়ে ১১ লক্ষাধিক টাকা ফিরিয়ে এনে তা প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আরো বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সমস্যার সমাধান করিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পুলিশে এই বিভাগটি।
সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সূত্রে জানগেছে, ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর পুলিশের এই বিভাগটি যশোরে কার্যক্রম শুরু করে। এখন পর্যন্ত তাদের কাজের ধারাবাহিকতা রয়েছে। প্রত্যেক মাসে যশোরের ৯ থানা থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে থাকে এবং উদ্ধার হওয়া মানুষ ও পণ্য পরিবার বা তাদের মালিকের জিম্মায় দিয়ে থাকে।
সূত্রটি জানিয়েছে, গত দুই বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে হয়রানির শিকার ১২ জনকে আইনী সহায়তা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফেসবুকের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। হ্যাকড হয়ে যাওয়া ৮৬টি আইডি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া হারিয়ে যাওয়া ৪২ জন নারী পুরুষকে উদ্ধারে সাহায্য করা হয়েছে এবং এই সেলের সহযোগিতায় ৫৯ জনকে উদ্ধার করে দেয়া হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে যাওয়া দুইজনের আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করে দেয়া হয়েছে। ধর্ষণ ও খুনের মামলার আসামিকেও আটক করতে পেরেছে এই সেলের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে।
সূত্রমতে, শুধুমাত্র চলতি বছরের জুলাইয়ে হারিয়ে যাওয়া ৪১টি মোবাইল ফোনসেট এবং হ্যাকড হওয়া ১৩টি ফেসবুক আইডি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ১৪ জন ভুক্তভোগির ভুল করে অন্য বিকাশ নম্বরে চলে যাওয়া ১ লাখ ৭ হাজার ৫শ’ ৫৩ টাকা উদ্ধার করে দেয়া হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া ১২ জন নারীর খোঁজ করে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুইটি ইমো আইডি পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার গত বৃহস্পতিবার সকালে হারিয়ে যাওয়া পণ্য উদ্ধার করে ভুক্তভোগিদের হাতে তুলে দেন। এই সময় তিনি বলেন, যে কোনো প্রকার সাইবার ক্রাইম হলে এই বিভাগে অভিযোগ করলে পুলিশ তা গুরুত্বের সাথে দেখবে। এই ব্যাপারে তিনি সাধারণ মানুষকে সজাগ ও পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানিয়েছেন।