টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
রোববার (৩০ এপ্রিল ) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ধনবাড়ী উপজেলার বাঘিল নামক স্থানে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা ধনবাড়ীর ধোপাখালী ইউনিয়নের নরিল্যা গ্রামের নিয়ত আলীর ছেলে আব্দুল হাকিম (৪৫), হাদিরা গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে অটোচালক মোস্তফা (৫৩), বাঘিল গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে ভাইঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রশ্মি ওরফে উর্মি আক্তার ও উর্মির স্বজন বীথি আক্তার মুন্নি।
আহতরা সকলেই ভাইঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়া পথযাত্রী ছাত্রী বলে জানা গেছে।এরা হোলো বাঘিল গ্রামের আছর আলীর মেয়ে আফসানা (১৪), ভাইঘাটের মোজাম্মেল হকের মেয়ে সোনিয়া (১৩) ও মধুপুরের কুড়ালিয়া গ্রামের আলমাছ মিয়ার মেয়ে স্বর্ণা (১৭)।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায় , দুপুর সোয়া ১টার দিকে বাঘিল নামক স্থানে ঢাকাগামী টিএস পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশাটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই হাকিম ও মোস্তফা মারা যান।
আহতদের উদ্ধার করে ১০০ শয্যার মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে রশ্মি ওরফে উর্মি এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বীথি আক্তার মুন্নি নিহত হন। আহত তিন ছাত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ দিকে দূর্ঘটনা কে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসলাম হোসাইন, উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরাসহ প্রশাসনের লোকজন বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলে জনতা অবরোধ তুলে নেন। এদিকে দূর্ঘটনা কবলিত বাস উদ্ধার করে থানায় নেওয়া, ও লাশ মর্গে নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ জানায়।
ধনবাড়ী থানার ওসি এইচএম জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।