নেত্রকোণা -২ (নেত্রকোণা সদর বারহাট্টা) সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন বলে জানান তাঁর নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ এবং আওয়ামী লীগের ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আসন্ন দ্বাদশ মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যোগাযোগ করলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক বলেন, আমার বাবা মরহুম নূরুল হুদা মাতৃভাষা রক্ষার জন্যে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য চুঙ্গা মাইকে প্রচার প্রভাকান্ডা করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বাবার গলা দিয়ে রক্ত আসতো। আমার বাবা নেত্রকোণা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পরবর্তী সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমার পরিবার এমনকি আত্মীয় স্বজন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হয়েও জেলা আওয়ামী লীগের প্রত্যাশিত কাঙ্খিত পদপদবী পায়নি। ১৯৭৫-এর ১৫ ই আগষ্টে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে খুন হওয়ার পর জিয়া উর রহমানের বিএনপির নেতাকর্মীদের ও স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহলের অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে আমার মা বাবা ভাই বোনদের নিয়ে বাসা বাড়ীতে থাকতে পারি নাই।
তিনি আরও বলেন, অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর আদর্শ ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বাসী হয়ে বাবার অনুপ্রেরণায় স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হই এবং আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করি। জেলা ছাত্রলীগের দুই বারের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হয়েছি। পরবর্তীতে রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় নিষ্পত্তি হয়। ২০০৭ সালের ১/১১-এর ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিনের অবৈধ তত্ত্বাবধায়কের আমলে জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলাম। তৎকালীন সময় দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা কে বেআইনীভাবে কারাগারে প্রেরণ করায় তারই প্রতিবাদে আন্দোলন সংগ্রাম, বিক্ষোভ মিছিল সহ নেত্রকোণা জেলার সম্মানিত জনগণ এবং তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের দুই লাখ গণস্বাক্ষর প্রেরণ করি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা’র মুক্তির দাবীতে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড আমাকে যদি নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ঘোষিত উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করবো।
আমি আশাবাদী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড আমাকে নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দিবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের, জনগণের ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কায় আমাকে মনোনয়ন দিলে, আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে জয়যুক্ত করবেন।