ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভারত শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাবে:ওয়াং ই’র ফোনালাপ Logo যুদ্ধবিরতি অর্জন জন্য চীনকে পাকিস্তানের ধন্যবাদ : ওয়াং ই’র ফোনালাপ Logo সুইজারল্যান্ডে চীন-মার্কিন আর্থ-বাণিজ্যিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মতৈক্য Logo ঝিনাইগাতীতে সমলয় পদ্ধতিতে বোর ধান কর্তনের উদ্বোধন Logo রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধের দাবিতে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ Logo যাত্রাবাড়ী থানার ৬১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের কর্মিসভা অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ময়মনসিংহ জেলা কমিটি অনুমোদিত Logo চাঁদপুরে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা মূল্যের ২৫ কেজি গাজা জব্দ Logo মাতৃত্ব নয় বরং মাকে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে মহিমান্বিত করুন : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী Logo ৮ বছরে ও সড়কে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি কোরপাই মনঘাটা-আবিদপুর সড়কে

পলাশবাড়ী এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

আঃ রাজ্জাক সরকার, স্টাফ রিপোর্টার

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলাল-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র এসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।

অ‌ভি‌যো‌গে প্রকাশ, এলজিইডি’র তহবিল থেকে প্রায় ৯ কোটি ৫৮ লাখ ২শত ৮ টাকা ব্যয়ে হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে হরিতোলা হাট পর্যন্ত রাস্তা (চেইনেজ ০.০০–৫০০০ এবং ৫৮০০–৮৪৫০ মিটার) পাকা করার জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এলাকাবাসীর মতে, এটি ইউনিয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিবর্তে উপসহকারী প্রকৌশলী হেলাল একটি কম গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা রাস্তার জন্য নতুন ইস্টিমেট তৈরি করে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আর্থিক সুবিধা ও প্রভাবশালী মহলের চাপে প্রকৌশলী হেলাল প্রকল্পটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। এ বিষয়ে আটঘরিয়া গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা মো.হযরত আলী বলেন, “এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, হাটবাজার ও উপজেলা শহরে যাতায়াত করে কয়েক হাজার মানুষ। অথচ আমাদের সেই রাস্তার উন্নয়ন না করে গায়ের পাশের একেবারে কম ব্যবহৃত রাস্তা উন্নয়নের চেষ্টা চলছে, যা পুরোপুরি জনস্বার্থবিরোধী।”

এছাড়াও এলজিইডি’র আওতাধীন অন্যান্য সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, হেলালুর রহমান হেলাল কাজের তদারকিতে অনিয়ম করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৭-১০ শতাংশ হারে কমিশন নিয়ে থাকেন। এর ফলে নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই কাজ শেষ করছে ঠিকাদাররা।

এ বিষয়ে এলজিইডি পলাশবাড়ী অফিসের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলাল-এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একাধিক মৌখিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।”

এদিকে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে— “প্রকৃত জনস্বার্থের প্রকল্প যেন বাস্তবায়ন হয়, সেই সঙ্গে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাবে:ওয়াং ই’র ফোনালাপ

SBN

SBN

পলাশবাড়ী এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৫:৫২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

আঃ রাজ্জাক সরকার, স্টাফ রিপোর্টার

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলাল-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র এসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।

অ‌ভি‌যো‌গে প্রকাশ, এলজিইডি’র তহবিল থেকে প্রায় ৯ কোটি ৫৮ লাখ ২শত ৮ টাকা ব্যয়ে হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে হরিতোলা হাট পর্যন্ত রাস্তা (চেইনেজ ০.০০–৫০০০ এবং ৫৮০০–৮৪৫০ মিটার) পাকা করার জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এলাকাবাসীর মতে, এটি ইউনিয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিবর্তে উপসহকারী প্রকৌশলী হেলাল একটি কম গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা রাস্তার জন্য নতুন ইস্টিমেট তৈরি করে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আর্থিক সুবিধা ও প্রভাবশালী মহলের চাপে প্রকৌশলী হেলাল প্রকল্পটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। এ বিষয়ে আটঘরিয়া গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা মো.হযরত আলী বলেন, “এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, হাটবাজার ও উপজেলা শহরে যাতায়াত করে কয়েক হাজার মানুষ। অথচ আমাদের সেই রাস্তার উন্নয়ন না করে গায়ের পাশের একেবারে কম ব্যবহৃত রাস্তা উন্নয়নের চেষ্টা চলছে, যা পুরোপুরি জনস্বার্থবিরোধী।”

এছাড়াও এলজিইডি’র আওতাধীন অন্যান্য সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, হেলালুর রহমান হেলাল কাজের তদারকিতে অনিয়ম করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৭-১০ শতাংশ হারে কমিশন নিয়ে থাকেন। এর ফলে নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই কাজ শেষ করছে ঠিকাদাররা।

এ বিষয়ে এলজিইডি পলাশবাড়ী অফিসের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলাল-এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একাধিক মৌখিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।”

এদিকে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে— “প্রকৃত জনস্বার্থের প্রকল্প যেন বাস্তবায়ন হয়, সেই সঙ্গে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।