ঢাকা ১১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীনের পরিষেবা বাণিজ্য মেলায় একটি অনন্য আকর্ষণ রয়েছে:ফার্গুসন Logo বরুড়ায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক মান উন্নয়নের লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বরুড়ার সাবেক এমপি নজরুলের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক Logo যাত্রীবেশে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নেয় চোর চক্র Logo ওবায়দুল কাদের আমার বাসায় না এসে বিদেদেশ পালিয়েছে : মির্জা ফখরুল Logo খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু Logo খাগড়াছড়িতে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দুদের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় Logo সিএমজি’র ‘রিটেন ইন দ্য স্কাই: মাই চায়না স্টোরি’ কার্যক্রম Logo দক্ষিণ চীন সাগরে উস্কানির পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে Logo সিলেটের গোয়াইনঘাট রাতারগুল হারাচ্ছে পর্যটন আকর্ষণ

পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয় কেন্দ্রে ৫৮১ পরিবার

মোঃ শাহারিয়া আহমেদ সোহেল, খাগড়াছড়ি

টানা প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এতে ৫শতাধিক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। মেরুং-লংগদু মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

এতে করে মেরুং ইউনিয়ন এর ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকায় নিম্নাঞ্চল পানি ডুকে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। দীঘিনালা সাজেক মূল সড়কে কবাখালী এলাকায় পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সাজেকের সাথে দীঘিনালা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

মেরুং ইউনিয়ন এ ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২শত৭০ পরিবার, মেরুং ইউনিয়ন ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২শত৯৬ পরিবার ও বোয়ালখালী ইউনিয়ন ২টি আশ্রয় কেন্দ্র ১শত১৫ পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও দেড় হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থা রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার, কবাখালী, বোয়ালখালী ও মেরুং এলাকার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভারি বর্ষণে প্লাবিত সহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাড়তে পারে জন দুর্ভোগও।

ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। টানা প্রবল বর্ষণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন কতৃক খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র ও মেরুং, কবাখালি, বোয়ালখালী, বাবুছড়া সহ চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয় কেন্দ্র।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন এ বন্যায় বেশি ক্ষতির আশংকা থাকে ইতিমধ্যে অনেক এলাকায় পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

পানি বন্ধি এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ন এলাকার মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসছে। কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলেন কবাখালী ইউনিয়ন ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২৭০পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র পরিবার গুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয়কেন্দ্র। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের পরিষেবা বাণিজ্য মেলায় একটি অনন্য আকর্ষণ রয়েছে:ফার্গুসন

SBN

SBN

পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয় কেন্দ্রে ৫৮১ পরিবার

আপডেট সময় ০১:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

মোঃ শাহারিয়া আহমেদ সোহেল, খাগড়াছড়ি

টানা প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এতে ৫শতাধিক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। মেরুং-লংগদু মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

এতে করে মেরুং ইউনিয়ন এর ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকায় নিম্নাঞ্চল পানি ডুকে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। দীঘিনালা সাজেক মূল সড়কে কবাখালী এলাকায় পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সাজেকের সাথে দীঘিনালা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

মেরুং ইউনিয়ন এ ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২শত৭০ পরিবার, মেরুং ইউনিয়ন ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২শত৯৬ পরিবার ও বোয়ালখালী ইউনিয়ন ২টি আশ্রয় কেন্দ্র ১শত১৫ পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও দেড় হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থা রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার, কবাখালী, বোয়ালখালী ও মেরুং এলাকার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভারি বর্ষণে প্লাবিত সহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাড়তে পারে জন দুর্ভোগও।

ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। টানা প্রবল বর্ষণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন কতৃক খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র ও মেরুং, কবাখালি, বোয়ালখালী, বাবুছড়া সহ চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয় কেন্দ্র।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন এ বন্যায় বেশি ক্ষতির আশংকা থাকে ইতিমধ্যে অনেক এলাকায় পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

পানি বন্ধি এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ন এলাকার মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসছে। কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলেন কবাখালী ইউনিয়ন ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২৭০পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র পরিবার গুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয়কেন্দ্র। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।