ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে সি’র নির্দেশনা Logo চীনের অনুশীলন মানব সমাজের উন্নয়নে নতুন দৃষ্টান্ত : কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট Logo তাইওয়ানকে হু’র বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের অনুমতি না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত চীনের Logo অবসরে যাওয়া দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর ভৈত্তিক সম্পত্তির দাবিদারকে? Logo শেরপুরে দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ ও সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় ৩০০ বোতল মদ উদ্ধার Logo বুড়িচংয়ের ময়নামতিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু Logo লাকসামে খাল, নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo গাইবান্ধায় বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে মউশিক এর মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo বরিশালের হিজলায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ চিংড়ি রেণু জব্দ

পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয় কেন্দ্রে ৫৮১ পরিবার

মোঃ শাহারিয়া আহমেদ সোহেল, খাগড়াছড়ি

টানা প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এতে ৫শতাধিক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। মেরুং-লংগদু মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

এতে করে মেরুং ইউনিয়ন এর ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকায় নিম্নাঞ্চল পানি ডুকে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। দীঘিনালা সাজেক মূল সড়কে কবাখালী এলাকায় পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সাজেকের সাথে দীঘিনালা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

মেরুং ইউনিয়ন এ ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২শত৭০ পরিবার, মেরুং ইউনিয়ন ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২শত৯৬ পরিবার ও বোয়ালখালী ইউনিয়ন ২টি আশ্রয় কেন্দ্র ১শত১৫ পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও দেড় হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থা রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার, কবাখালী, বোয়ালখালী ও মেরুং এলাকার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভারি বর্ষণে প্লাবিত সহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাড়তে পারে জন দুর্ভোগও।

ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। টানা প্রবল বর্ষণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন কতৃক খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র ও মেরুং, কবাখালি, বোয়ালখালী, বাবুছড়া সহ চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয় কেন্দ্র।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন এ বন্যায় বেশি ক্ষতির আশংকা থাকে ইতিমধ্যে অনেক এলাকায় পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

পানি বন্ধি এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ন এলাকার মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসছে। কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলেন কবাখালী ইউনিয়ন ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২৭০পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র পরিবার গুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয়কেন্দ্র। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে সি’র নির্দেশনা

SBN

SBN

পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয় কেন্দ্রে ৫৮১ পরিবার

আপডেট সময় ০১:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

মোঃ শাহারিয়া আহমেদ সোহেল, খাগড়াছড়ি

টানা প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এতে ৫শতাধিক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। মেরুং-লংগদু মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

এতে করে মেরুং ইউনিয়ন এর ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকায় নিম্নাঞ্চল পানি ডুকে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। দীঘিনালা সাজেক মূল সড়কে কবাখালী এলাকায় পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সাজেকের সাথে দীঘিনালা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

মেরুং ইউনিয়ন এ ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২শত৭০ পরিবার, মেরুং ইউনিয়ন ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২শত৯৬ পরিবার ও বোয়ালখালী ইউনিয়ন ২টি আশ্রয় কেন্দ্র ১শত১৫ পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও দেড় হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থা রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার, কবাখালী, বোয়ালখালী ও মেরুং এলাকার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভারি বর্ষণে প্লাবিত সহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাড়তে পারে জন দুর্ভোগও।

ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। টানা প্রবল বর্ষণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন কতৃক খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র ও মেরুং, কবাখালি, বোয়ালখালী, বাবুছড়া সহ চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয় কেন্দ্র।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন এ বন্যায় বেশি ক্ষতির আশংকা থাকে ইতিমধ্যে অনেক এলাকায় পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

পানি বন্ধি এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ন এলাকার মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসছে। কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলেন কবাখালী ইউনিয়ন ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ২৭০পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র পরিবার গুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয়কেন্দ্র। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।