
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার অন্তগত রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট সিলভার রেইন -এ গত ২৩ই মে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট করে রিসোর্ট দখল করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় জড়িত ১ জনকে মালামাল সহ আটক করে চাঙ্গিরচড় এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামীসহ মালামাল উদ্ধার করার ২দিন অতিবাহিত হলেও মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। বাদী পক্ষ অভিযোগ দায়েরের পর জয়দেবপুর থানার ওসি বাদীকে নানা ভাবে হুমকি-ধমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। পুলিশের এধরণের আচরণে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম নেয়।
এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার অপকৌশল হিসেবে আসামীকে ৫৪ধারায় চালান দেয় জয়দেবপুর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন- আমি অভিযোগ নিয়ে সকাল ১১টায় ওসির রুমে প্রবেশ করি। তিনি আমার অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা না বলে আমাকে বিভিন্ন ভাবে গ্রেফতারের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন।
এর আগে ওসি (তদন্ত) শরীফুল ইসলাম আমার সাথে বাজে ব্যবহার করে আমাকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছিলেন।
জানা যায়, নিজস্ব ২টি বিল্ডিং সহ আর ৬টি ভবন ১০বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে সামস ডেভেলপারস রিসোর্ট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। চুক্তির আড়াই বছর অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ ভবন মালিকগণ ভাড়াটিয়া চুক্তি বাতিল করতে চায়। এনিয়ে গাজীপুর জেলা সহকারী জজ ১ম আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা চলমান। যার নং- ৪০৪/২০২ইং।
এখানে উল্লেখ্য যে- ৬জন ভবন মালিকের জায়গার পরিমান ৩বিঘা আর অপারেটর কোম্পানির একাই জায়গার পরিমান ৪ বিঘা ৫ শতাংশ।
কিন্তু হঠাৎ করে মামলা চলমান অবস্থায় সন্ত্রাসী কায়গায় অপজিশন পার্টি দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে পুরো রিসোর্ট দখল করে নেয় এবং ভেতরের সকল স্টাফদের বের করে দেয়। রিসোর্টের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন বলেন, দুপুর দেড়টার সময় মোটর সাইকেল নিয়ে একদল সন্ত্রাসী তন্ময় ও সাগরের নেতৃত্বে রিসোর্ট দখল করে। পরবর্তীতে রাত পৌণে ১টার সময় রিসোর্টের সোপা, চেয়ার, গ্লাস ও অন্যান্য ফার্ণিচারসহ চাঙ্গিরচর এলাকাবাসী একজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। আসামী গ্রেফতারের প্রায় ৪৮ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর সম্পূর্ণ একপেশে ভাবে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে ৫৪ধারায় আসামীকে কোর্টে প্রেরণ করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়- সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ বজলুল করিম এ রিসোর্টের একজন ভবন মালিক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি তার ভবন বিক্রি করে এখানে বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। থানার ভেতরে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে তিনি এখানে একটি পক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে আজিজুর রহমান আরোও বলেন- এ পর্যন্ত ৮ বার আমাদের এখানে হামলা হয়েছে। আমরা যতবার থানায় অভিযোগ দিয়েছি পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বরং আমাদের নামে মিথ্যা মামলা নিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। এব্যাপারে আমরা আইজিপি কমপ্লেইন সেলে অভিযোগ দায়ের করবো।
এলাকাবাসী জানান- জয়দেবপুর থানার ওসি ইব্রাহিম খলিল যোগদানের পর থেকে আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতি হচ্ছে। মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করে সেবা গ্রহিতাদের হয়রানি করছেন।
এ ব্যাপারে ওসি জয়দেবপুর থানাকে একাধিকবার বার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।