ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহফুজুল হককে মাদকাসক্ত, পরনারী ও যৌতুকলোভী হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন তার প্রথম স্ত্রী।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রথম স্ত্রী সোনিয়া আক্তার সকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে স্বামীর বিরুদ্ধে সন্তান, বাবা ও বোনদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
অশ্রুসজল নয়নে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সোনিয়া আক্তার। এ সময় লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে সোনিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, মাহফুজুল হকের সঙ্গে তার বিয়ের পর তাদের সংসার প্রথম দিকে ভালো চললেও মাদকাসক্ত হয়ে পরবর্তীতে আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে সে। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসা ও অন্যান্য সমস্যার কথা বলে মাহফুজুল আমার বাবা ও ভাইয়ের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন কয়েক দফায়। কিন্তু সেসব টাকা ফেরত দেননি আজও।
সোনিয়া আক্তার আরও জানান, মাহফুজুল হক মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ক্ষমতার দাপটে মাদক ও অন্য নারীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদ করলে নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু শিশু তিন সন্তানের কথা চিন্তা করে এসব নির্যাতন সহ্য করে এলেও বর্তমানে নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যে মতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়েও করেছেন মেয়র মাহফুজুল হক বলে জানান সোনিয়া।
এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। এরপর থেকে সোনিয়া ও তার বাবা, দুলাভাইসহ পরিবারের সবাইকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে এত কিছুর পরও তিন সন্তান এবং বর্তমানে গর্ভে অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা করে মাহফুজের সঙ্গেই সংসার করতে চান সোনিয়া আক্তার।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন দলের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন মেয়র মাহফুজুল হকের প্রথম স্ত্রী।
প্রসঙ্গত, স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের এ সাংবাদিক সম্মেলনের কিছুদিন আগে মেয়র মাহফুজুল হকও কেঁদে কেঁদে তার প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধেও সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ওই সময় স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে একজন মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি। একই সঙ্গে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা আমাকে ঘায়েল করতে অসুস্থ এবং মানসিক রোগীকে (আমার স্ত্রী) দিয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।