ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে আলোচিত নারী ভিক্ষুক’কে গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আটক

মোঃশরিফুল ইসলাম রাজু
ষ্টাফ রিপোর্টার, ফেনী

ভুক্তভোগী ভিকটিম স্বামী পরিত্যক্তা ভিক্ষুক নারী চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে ভিকটিম কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন থেকে ভিক্ষা করে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে আসলে জৈনক মেহরাজ এর সাথে ভুক্তভোগী ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মেহরাজ ভিকটিমকে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে এবিএম ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিকদের শোয়ার কক্ষে নিয়ে যায়। অতঃপর কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেহরাজ এবং তার অন্যান্য ৭/৮ জন সহযোগী মিলে পালাক্রামে একাদিকবার জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষণকারীরা ভিকটিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পাশে রেখে পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্যাতিত ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। উক্ত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের ঘটনাটি ফেনীসহ সাড়াদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী ভিকটিম বাদী হয়ে ০৮ জন’কে এজাহারনামীয় এবং ০২/০৩ জন’কে অজ্ঞাতনামা করে ফেনী মডেল থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৯, তারিখ-০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/২০২০) এর ৯(৩)/৩০।

উক্ত অমানবিক, পাশবিক,মস্তিস্ক বিকৃত ও নিকৃষ্ট চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ০৭ নং আসামী মোঃ রিদন নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানাধীন নলেরচর এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এর যৌথ আভিযানিক দল রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রিদন (৪০), পিতা- মৃত মাহফুজুর রহমান. সাং- চরমজিদ, থানা- চরজব্বার, জেলা-নোয়াখালী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,সে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ০৭ নং পলাতক আসামী এবং তারা পরস্পর যোগসাজশে বর্ণিত ভিক্ষুক নারী’কে আর্থিক সহায়তার কথা বলে এবিএম ব্রিক ফিল্ডে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে বলে স্বীকার করে। উল্লেখ্য যে,গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখ সূত্রে বর্ণিত গণধর্ষণ মামলার মূলহোত মেহরাজ এবং এজাহার নামীয় ০৮ নং আসামী সালাউদ্দিন’কে ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে গ্রেফতার পূর্বক সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেনীতে আলোচিত নারী ভিক্ষুক’কে গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আটক

আপডেট সময় ০৯:০৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মোঃশরিফুল ইসলাম রাজু
ষ্টাফ রিপোর্টার, ফেনী

ভুক্তভোগী ভিকটিম স্বামী পরিত্যক্তা ভিক্ষুক নারী চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে ভিকটিম কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন থেকে ভিক্ষা করে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে আসলে জৈনক মেহরাজ এর সাথে ভুক্তভোগী ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মেহরাজ ভিকটিমকে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে এবিএম ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিকদের শোয়ার কক্ষে নিয়ে যায়। অতঃপর কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেহরাজ এবং তার অন্যান্য ৭/৮ জন সহযোগী মিলে পালাক্রামে একাদিকবার জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষণকারীরা ভিকটিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পাশে রেখে পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্যাতিত ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। উক্ত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের ঘটনাটি ফেনীসহ সাড়াদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী ভিকটিম বাদী হয়ে ০৮ জন’কে এজাহারনামীয় এবং ০২/০৩ জন’কে অজ্ঞাতনামা করে ফেনী মডেল থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৯, তারিখ-০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/২০২০) এর ৯(৩)/৩০।

উক্ত অমানবিক, পাশবিক,মস্তিস্ক বিকৃত ও নিকৃষ্ট চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ০৭ নং আসামী মোঃ রিদন নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানাধীন নলেরচর এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এর যৌথ আভিযানিক দল রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রিদন (৪০), পিতা- মৃত মাহফুজুর রহমান. সাং- চরমজিদ, থানা- চরজব্বার, জেলা-নোয়াখালী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,সে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ০৭ নং পলাতক আসামী এবং তারা পরস্পর যোগসাজশে বর্ণিত ভিক্ষুক নারী’কে আর্থিক সহায়তার কথা বলে এবিএম ব্রিক ফিল্ডে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে বলে স্বীকার করে। উল্লেখ্য যে,গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখ সূত্রে বর্ণিত গণধর্ষণ মামলার মূলহোত মেহরাজ এবং এজাহার নামীয় ০৮ নং আসামী সালাউদ্দিন’কে ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে গ্রেফতার পূর্বক সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


Fatal error: Uncaught wfWAFStorageFileException: Unable to save temporary file for atomic writing. in /home/bestweb/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php:34 Stack trace: #0 /home/bestweb/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php(658): wfWAFStorageFile::atomicFilePutContents('/home/bestweb/p...', '<?php exit('Acc...') #1 [internal function]: wfWAFStorageFile->saveConfig('transient') #2 {main} thrown in /home/bestweb/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php on line 34