ফেনীতে ভারত থেকে চোরাইপথে আসা কাপড় বহনের দায়ে মোঃ ইব্রাহিম (২৫) নামের এক পিকআপ চালকের ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ সৈয়দ মোঃ কায়সার মোশাররফ ইউসুফ।
দণ্ডপ্রাপ্ত পিকআপ চালক ইব্রাহিম চট্টগ্রামের ভুজপুর উপজেলার জিংতলা গ্রামের খোরশেদ আলম চৌধুরীর ছেলে।
বুধবার (২৯ মার্চ) আদালতে এ রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইব্রাহিম পলাতক ছিলেন। আদালতে উপস্থিত এ মামলার অপর আসামি গোলাম হোসেন (৪৫) কে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার এজহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের ১৪ জুলাই ভোর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার জঙ্গলমিয়া এলাকায় সন্দেহভাজন পরিবহনে অভিযান চালায়। অভিযানে ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে দূর্গাপুর মাদরাসার সামনে পুলিশ একটি পিকআপকে দাড়ানোর নির্দেশ দিলে তাৎক্ষণিক দুই ব্যক্তি পিকআপ থেকে লাফ দিয়ে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই পিকআপ তল্লাশী চালিয়ে ৯টি বস্তার মধ্য থেকে চোরাইপথে আসা ৩০২ পিস ভারতীয় শাড়ী উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গাড়ির চালক ইব্রাহিমকে আটক করা হয়। একই দিন ইব্রাহিমের দেয়া তথ্য মোতাবেক ইব্রাহিম, গোলাম হোসেন ও বিল্লাল হোসেন নামের ৩ ব্যক্তিকে আসামী করে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ১০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রাশেদ খান চৌধুরী।
আদালতের এপিপি দিজেন্দ্র কুমার কংশ বণিক জানান, আদালত এ মামলায় ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বুধবার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রধান আসামি পিকআপ চালক ইব্রাহিমকে ২ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।