ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল অর্জন Logo দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের বিচার দাবিতে লাকসামে মানববন্ধন Logo রাজশাহী মহানগরীতে সাইবার হ্যাকার পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ Logo কুমিল্লায় সড়ক দূর্ঘটনায় হাত হারানোর একবছর পর মারা গেলেন জুলফিকার নাঈম Logo রাজশাহীতে হামলা, চাঁদা দাবি ও নির্যাতন অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ Logo মুরাদনগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ Logo কটিয়াদী করগাঁও ইউনিয়নে ভিজিএফ এর চাল বিতরণের ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ Logo সুন্দরবনে পৃথক অভিযানে ২০৫ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক -১ Logo ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার ইফতার মাহফিল Logo লাকসামে ১৯ বছরের তরুনীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : গ্রেফতার-৫

ফেনীতে সালিশ বৈঠকে সালিশদারকে খুন, ৩ ঘাতক আটক

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু,
ষ্টাফ রিপোর্টার, ফেনীঃ

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নে বাড়ির জায়গা নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধ মেটাতে গিয়ে সালিশ বৈঠকে ছুরিকাঘাতে সালিশদারকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ছাগলনাইয়া থানার ওসি সুদ্বীপ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামের আমজাদ মজুমদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুর রউফ (৭০) স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন। আটককৃতরা হলেন, ওই বাড়ির মামুন, তার স্ত্রী রোকসানা ও সালিশদার মনসুর।

নিহতের ছেলে আবদুল মোমিন জানান, আমাদের বাড়ির মিজান ও মামুন দুই ভাইয়ের মধ্যে ঘরের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। পরে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বাড়ির উঠানে সালিশ ডাকে দুই ভাই। এ সময় সালিশে স্থানীয় ২০ থেকে ২৫ জন গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। পরে সালিশ চলাকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এ সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন হট্টগোল থামানোর চেষ্টা করেন বাবা। কিন্তু সালিশদার মনসুরের সঙ্গে পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল বাবার। সুযোগ কাজে লাগাতে অন্ধকারে মনসুরের নেতৃত্বে আমার বাবার ওপর হামলা করে মামুন ও তার ছেলে আরমানসহ কয়েকজন।

তিনি আরও জানান, তাদের সবার হাতে দা-ছুরি ছিল। এ সময় ছুরিকাঘাত করে বাবাকে রক্তাক্ত করা হয়। পরে উপস্থিত লোকজন বাবাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে রাতেই পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, আমার ওয়ার্ডে সালিশ অথচ আমাকে জানানো হয়নি। দিনে সালিশ না করে রাতে কেন সালিশ ডাকা হলো। আমার ধারণা, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি সুদ্বীপ রায় জানান, শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল অর্জন

SBN

SBN

ফেনীতে সালিশ বৈঠকে সালিশদারকে খুন, ৩ ঘাতক আটক

আপডেট সময় ০৩:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু,
ষ্টাফ রিপোর্টার, ফেনীঃ

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নে বাড়ির জায়গা নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধ মেটাতে গিয়ে সালিশ বৈঠকে ছুরিকাঘাতে সালিশদারকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ছাগলনাইয়া থানার ওসি সুদ্বীপ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামের আমজাদ মজুমদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুর রউফ (৭০) স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন। আটককৃতরা হলেন, ওই বাড়ির মামুন, তার স্ত্রী রোকসানা ও সালিশদার মনসুর।

নিহতের ছেলে আবদুল মোমিন জানান, আমাদের বাড়ির মিজান ও মামুন দুই ভাইয়ের মধ্যে ঘরের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। পরে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বাড়ির উঠানে সালিশ ডাকে দুই ভাই। এ সময় সালিশে স্থানীয় ২০ থেকে ২৫ জন গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। পরে সালিশ চলাকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এ সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন হট্টগোল থামানোর চেষ্টা করেন বাবা। কিন্তু সালিশদার মনসুরের সঙ্গে পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল বাবার। সুযোগ কাজে লাগাতে অন্ধকারে মনসুরের নেতৃত্বে আমার বাবার ওপর হামলা করে মামুন ও তার ছেলে আরমানসহ কয়েকজন।

তিনি আরও জানান, তাদের সবার হাতে দা-ছুরি ছিল। এ সময় ছুরিকাঘাত করে বাবাকে রক্তাক্ত করা হয়। পরে উপস্থিত লোকজন বাবাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে রাতেই পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, আমার ওয়ার্ডে সালিশ অথচ আমাকে জানানো হয়নি। দিনে সালিশ না করে রাতে কেন সালিশ ডাকা হলো। আমার ধারণা, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি সুদ্বীপ রায় জানান, শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।