মোঃ রায়হান, নওগাঁ
নওগাঁর বদলগাছীতে গ্যাস টাবলেট খেয়ে ১০ মাস বয়সের এক শিশু মারা গেছে। আর এই মৃত্যুতে দাদীর উপর অভিযোগ তুলেছেন শিশুর মা রিয়া আক্তার। নিহত শিশু রহমত আলী (১০ মাস) বদলগাছীর আধাইপুর ইউপি’র বেগুনজোয়ার গ্রামের নাহিদ হোসেনের ছেলে।
মৃত শিশুর মা রিয়া আক্তার জানান, আমার বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি আমাকে পছন্দ করতেন না।বার বার আমাকে বাচ্চা নেওয়ার জন্য নিষেধ করতেন।ইতি পূর্বে আমার দুইটা বাচ্চা নষ্ট করিয়েছে। আমার শাশুড়ি আমাকে সব সময় জ্বালা যন্ত্রণা করত। আমি স্বামী সংসার করার জন্য জোর করে বাচ্চা নিই। আমার বাচ্চা জন্মের পর থেকে আমার শাশুড়ি আমার সাথে খারাপ আচরন করে আসছিল।
এমতাবস্থায় গত ৩ নভেম্বর/২০২৩ ঘটনার দিন আমার শিশু বাচ্চা রহমত আলী ঘুমিয়েছিল। আমার শাশুড়ি সরিষা শুকানোর জন্য আমাকে পাশের বাড়ীতে নাড়িয়ে দিতে বলে। আমি পাশের বাড়ীতে সরিষা নাড়িয়ে দিচ্ছিলাম কিছুক্ষন পর শুনতে পাই আমার শিশু বাচ্চা গ্যাস বড়ি খেয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার শাশুড়ি বাচ্চার মুখে হাতের আঙুল দিয়ে গ্যাস বড়ি ঢকে দিচ্ছে। আমার শিশু বাচ্চা নিজ হাতে গ্যাস বড়ি খায়নি। আমার শাশুড়ি আমার বাচ্চাকে গ্যাস বড়ি খেয়ে দিচ্ছে।আমার বাচ্চার মৃত্যুর জন্য আমার শাশুড়ি দায়ি।
মৃত শিশুর দাদী নাজমা বেগম (৫৫) জানান, শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৮:৩০টায় ভাত রান্না করার জন্য ড্রামের ভিতর থেকে চাল নেওয়ার সময় চালের ভিতরে রাখা পোকা মারার গ্যাস ট্যাবলেটটি মাটিতে পরে গেলে রহমত আলী হামাগুড়ি দিয়ে চালের ড্রামের নিকট গিয়ে পড়ে থাকা গ্যাস ট্যাবলেটটি হাত দিয়ে তুলে মুখে নিয়ে চুষে গিলে ফেলার চেষ্টা করার সময় আমি বিষয়টি দেখতে পেয়ে রহমতের মুখে হাত দিয়ে গ্যাস ট্যাবলেটের কিছু অংশ বের করি এবং ডাকচিৎকার করলে রহমত আলীর বাবা ও মা দৌড়ে আসে এবং রহমত আলীর অবস্থা খারাপ দেখে সাথে সাথে সিএনজিতে করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেবার পথে আনুমানিক সকাল ৯:২০ মিনিটে শশীর মোড় নামক স্থানে মারা যায়।
এ ব্যপারে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, এ ব্যপারে নিহতের পিতা নাহিদ হোসেন থানায় একটি ইউডি মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।