ঢাকা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরুড়ায় আদ্রা ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন বাণিজ্যের অভিযোগ

মোঃ মহিবুল্লাহ্ ভূঁইয়া বাবুল, স্টাফ রিপোর্টারঃ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ১৩ নম্বর আদ্রা ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৮ ই জানুয়ারি ২০২৩ ইং) দুপুর ১২টার সময় ওই ইউনিয়নের পেরপেটি ভুক্তভোগীরা এসব অভিযোগ করেন।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, আমি গত ১ মাস আগে এই ১৩ নং আদ্রা ইউনিয়ন থেকে আমার পরিবারের ৪ টি জন্ম নিবন্ধন করেছি, আমার কাছ থেকে প্রতিটি নিবন্ধনে ৩ শত টাকা নিয়েছে।

কাকৈর তলা গ্রামের শারমিন আক্তার নামের আরেক ভুক্তভোগী জানান, আমার বাচ্চার বয়স এখনও একবছর হয়নি। বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে
ইউপি সচিব ও উদ্যোক্তা মেহজাবিন
আমার ২০০ টাকা নেন। আর ১ বছরের উপরে বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করতে ৩০০ টাকা করে লাগবে। ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন করার অজুহাতে এভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই চক্র। তারা বলেন, আমরা অসহায় ও তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছি।

আমরা সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে মুখ খুললে বা বলতে চাইলে আমাদের জন্ম নিবন্ধন দিবে না বলে হুমকি দেয়।
আমরা সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে জম্ম নিবন্ধন নিতে বাধ্য হই।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা শাহ পরান বলেন, আমি অনলাইনের জন্য ১ শত টাকা নেই বাকি। ১ শত ৫০ থেকে ২ শত টাকা ওইখানের সচিব মেহজাবিন ম্যাডাম নেন।

এই বিষয়ে ইউনিয়নের সচিবের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমে স্বীকার করলেও পরে পাশকাটিয়ে যান।

১৩ নং আদ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান (লিমন) বলেন, আমরা জন্ম নিবন্ধন করতে ১৫০ টাকা করে রাখি। ১ শত টাকা সরকারের খাতা জমা দেওয়া হয়, আর বাকি টাকা অফিস ও অন্যান্য খরচের বাবদ ব্যয় করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

SBN

SBN

বরুড়ায় আদ্রা ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন বাণিজ্যের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

মোঃ মহিবুল্লাহ্ ভূঁইয়া বাবুল, স্টাফ রিপোর্টারঃ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ১৩ নম্বর আদ্রা ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৮ ই জানুয়ারি ২০২৩ ইং) দুপুর ১২টার সময় ওই ইউনিয়নের পেরপেটি ভুক্তভোগীরা এসব অভিযোগ করেন।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, আমি গত ১ মাস আগে এই ১৩ নং আদ্রা ইউনিয়ন থেকে আমার পরিবারের ৪ টি জন্ম নিবন্ধন করেছি, আমার কাছ থেকে প্রতিটি নিবন্ধনে ৩ শত টাকা নিয়েছে।

কাকৈর তলা গ্রামের শারমিন আক্তার নামের আরেক ভুক্তভোগী জানান, আমার বাচ্চার বয়স এখনও একবছর হয়নি। বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে
ইউপি সচিব ও উদ্যোক্তা মেহজাবিন
আমার ২০০ টাকা নেন। আর ১ বছরের উপরে বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করতে ৩০০ টাকা করে লাগবে। ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন করার অজুহাতে এভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই চক্র। তারা বলেন, আমরা অসহায় ও তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছি।

আমরা সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে মুখ খুললে বা বলতে চাইলে আমাদের জন্ম নিবন্ধন দিবে না বলে হুমকি দেয়।
আমরা সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে জম্ম নিবন্ধন নিতে বাধ্য হই।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা শাহ পরান বলেন, আমি অনলাইনের জন্য ১ শত টাকা নেই বাকি। ১ শত ৫০ থেকে ২ শত টাকা ওইখানের সচিব মেহজাবিন ম্যাডাম নেন।

এই বিষয়ে ইউনিয়নের সচিবের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমে স্বীকার করলেও পরে পাশকাটিয়ে যান।

১৩ নং আদ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান (লিমন) বলেন, আমরা জন্ম নিবন্ধন করতে ১৫০ টাকা করে রাখি। ১ শত টাকা সরকারের খাতা জমা দেওয়া হয়, আর বাকি টাকা অফিস ও অন্যান্য খরচের বাবদ ব্যয় করা হয়।