কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বরুড়ায় ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ার পর পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে ৯ বছরের শিশু নাদিয়া সুলতানা ইমুকে হত্যা করে আসামি মো. জসিম উদ্দিন (২২)। এই হত্যার দায় স্বীকার করে বৃহস্পতিবার আদালতে দেওয়া জসিমের জবানবন্দির বরাত দিয়ে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার এ তথ্য জানান।
ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জসিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতে জসিম জানান, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তিনি শিশুটিকে নির্জন স্থানে নিয়েছিলেন। কিন্তু শিশুটি এ ঘটনা সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখালে জসিম গলায় ওড়না পেচিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। আসামি হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর নিশ্চিত হওয়া হবে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের গজারিয়া পূর্ব কলনীপাড়া এলাকা থেকে ইমুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মনজুমা বেগমের মেয়ে।
নিহত ইমুর ফুপাত ভাই আল আমিন বলেন, ইমু স্থানীয় একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো। পরীক্ষা শেষে সে পাশের গ্রামের খালার বাড়ি পূর্ব গজারিয়াতে বেড়াতে আসে। বুধবার বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশী জসিমকে আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়া হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, পাশের বাঁশঝাড় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভাউকসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মাশরুল হক বলেন, 'জসিমকে সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। পরে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।'
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.