ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরুড়ায় নকল বন্ধে ইউএনও সাবরিনা আফরিন মুস্তফার বিভিন্ন পদক্ষেপ

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া: কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় নকল বন্ধের প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তফা।
৯ মে ২৩ ইং অংক পরীক্ষা পর্যন্ত নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, গনেশ চন্দ্র ধর নামে একজন শিক্ষক কে  মোবাইল দিয়ে প্রশ্নের ছবি তোলার অপরাধে নিয়মিত মামলা করে জেলে পাঠানো হয়েছে। ৩ জন টেগ অফিসার কে দায়িত্ব অবহেলার কারণে  সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২২ জন শিক্ষক কে দায়িত্ব অবহেলার কারণে  বিভিন্ন হল থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এ বছর তারা আর কোন পরীক্ষার হলে আসতে পারবে না। বোর্ডের সুপারিশ ক্রমে মহেশপুর আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের হল  সচিব মোঃ কামরুজ্জামান কে দায়িত্ব অবহেলার কারণে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এই পর্যন্ত ৪ জন শিক্ষার্থী কে নকলের দায়ে  বহিষ্কার করা হয়েছে।
৯ মে  ২৩ ইং অংক পরীক্ষার দিন বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্টেড সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। একাধিক কেন্দ্রে ২ জন করে টেগ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা যায়।  পুলিশ সূত্রে জানা যায় কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও  চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তফা বিভিন্ন দিন যে দিন যে বিষয় পরীক্ষা সেই বিষয়ের ভালো মানের শিক্ষকদের  কে উপজেলায় এনে হল রুমে  এসি রুমে বসিয়ে রেখে বিভিন্ন কাজ দিচ্ছেন এবং আপ্যায়নের ও ব্যবস্হা করছেন বলে জানা যায়।
৯ মে বরুড়া হাজী নোয়াব আলী কেন্দ্রে ম্যানেজিং  কমিটির সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও আমান উল্লাহ তিন ঘন্টায় রুদ্রে থেকে নকল প্রতিরোধে কেন্দ্রে বাহিরে  ব্যবস্হা নিয়েছেন। যাহা চোখে পড়ার মতোন লক্ষনীয় ছিল  কিন্তু পরীক্ষা শেষে অল্প কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষকের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পুলিশ তাতে বাঁধা দিলে তাদের সাথে কিছু বহিরাগত যোগ হয়ে  দায়িত্বরত ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্টেড কে অবরোধ করে। পুলিশের গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পরিবেশ অশান্ত সৃষ্টি করে।পটকা ফুটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। যার ফলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ ১০ মে ২৩ ইং থেকে বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কে আমড়াতলী শাহেরবানু আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষার হল স্থানান্তর করে।   থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ হোসেন বরুড়া হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন করে বলেন, কাক পক্কি উড়ার সুযোগ নেই। পরিচ্ছন্ন একটি পরীক্ষা হচ্ছেে। ভালো লাগছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তফার এ উদ্যেগ কে স্বাগত জানিয়েছেন বরুড়ার অভিভাবক ও সুশীল সমাজের অনেকে।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তফা বলেন, নকল বন্ধে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অনেকের সহোযোগিতা পেয়েছি।
ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ বরুড়া উপজেলা নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হবে। শিক্ষার্থীরা ও লেখাপড়া করবে আমার বিশ্বাস। মেধাবী শিক্ষার্থী অবশ্যই ফলাফল ভালো করবে আমার বিশ্বাস। মেধা সৃষ্টি আমাদের এই পদক্ষেপ।
আপলোডকারীর তথ্য

বরুড়ায় নকল বন্ধে ইউএনও সাবরিনা আফরিন মুস্তফার বিভিন্ন পদক্ষেপ

আপডেট সময় ০৪:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া: কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় নকল বন্ধের প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তফা।
৯ মে ২৩ ইং অংক পরীক্ষা পর্যন্ত নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, গনেশ চন্দ্র ধর নামে একজন শিক্ষক কে  মোবাইল দিয়ে প্রশ্নের ছবি তোলার অপরাধে নিয়মিত মামলা করে জেলে পাঠানো হয়েছে। ৩ জন টেগ অফিসার কে দায়িত্ব অবহেলার কারণে  সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২২ জন শিক্ষক কে দায়িত্ব অবহেলার কারণে  বিভিন্ন হল থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এ বছর তারা আর কোন পরীক্ষার হলে আসতে পারবে না। বোর্ডের সুপারিশ ক্রমে মহেশপুর আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের হল  সচিব মোঃ কামরুজ্জামান কে দায়িত্ব অবহেলার কারণে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এই পর্যন্ত ৪ জন শিক্ষার্থী কে নকলের দায়ে  বহিষ্কার করা হয়েছে।
৯ মে  ২৩ ইং অংক পরীক্ষার দিন বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্টেড সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। একাধিক কেন্দ্রে ২ জন করে টেগ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা যায়।  পুলিশ সূত্রে জানা যায় কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও  চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তফা বিভিন্ন দিন যে দিন যে বিষয় পরীক্ষা সেই বিষয়ের ভালো মানের শিক্ষকদের  কে উপজেলায় এনে হল রুমে  এসি রুমে বসিয়ে রেখে বিভিন্ন কাজ দিচ্ছেন এবং আপ্যায়নের ও ব্যবস্হা করছেন বলে জানা যায়।
৯ মে বরুড়া হাজী নোয়াব আলী কেন্দ্রে ম্যানেজিং  কমিটির সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও আমান উল্লাহ তিন ঘন্টায় রুদ্রে থেকে নকল প্রতিরোধে কেন্দ্রে বাহিরে  ব্যবস্হা নিয়েছেন। যাহা চোখে পড়ার মতোন লক্ষনীয় ছিল  কিন্তু পরীক্ষা শেষে অল্প কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষকের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পুলিশ তাতে বাঁধা দিলে তাদের সাথে কিছু বহিরাগত যোগ হয়ে  দায়িত্বরত ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্টেড কে অবরোধ করে। পুলিশের গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পরিবেশ অশান্ত সৃষ্টি করে।পটকা ফুটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। যার ফলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ ১০ মে ২৩ ইং থেকে বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কে আমড়াতলী শাহেরবানু আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষার হল স্থানান্তর করে।   থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ হোসেন বরুড়া হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন করে বলেন, কাক পক্কি উড়ার সুযোগ নেই। পরিচ্ছন্ন একটি পরীক্ষা হচ্ছেে। ভালো লাগছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তফার এ উদ্যেগ কে স্বাগত জানিয়েছেন বরুড়ার অভিভাবক ও সুশীল সমাজের অনেকে।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তফা বলেন, নকল বন্ধে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অনেকের সহোযোগিতা পেয়েছি।
ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ বরুড়া উপজেলা নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হবে। শিক্ষার্থীরা ও লেখাপড়া করবে আমার বিশ্বাস। মেধাবী শিক্ষার্থী অবশ্যই ফলাফল ভালো করবে আমার বিশ্বাস। মেধা সৃষ্টি আমাদের এই পদক্ষেপ।