
সুক্রিয়া দাস
ওই দূরের নীল আকাশটা আমার বড়ই প্রিয়,
শরৎ এসে সাজিয়েছে শুভ্র বসনে হয়েছে সে আরও সুন্দর ও অপরাজেয়।
যখনই দেখি ওই নীল অম্বর,
হৃদয় মাঝে তোলপাড় করে খুশির এক সমুদুর।
আমার বাড়ির সামনে কৃষ্ণচূড়া গাছটায় যখন লাল টকটকে ফুলগুলো ফোটে,
হৃদয়ে আমার আনন্দের ফল্গুধারা ছোটে,
আর ওই গাছটার ডালে যখন দেখি একটা নাম না জানা হলুদ পাখি এসে বসে,
আমি চোখ ফেরাতে পারি না ওকে ভালোবেসে তাকিয়ে থাকি এক গভীর সুখে।
দিঘীর জলে যখন শেফালি আর পদ্মগুলো সারি বেঁধে গল্পগুজব করে,
আমার খুব ইচ্ছে করে ওদের পাশে বসে একটু
সময় কাটাই নিজের মতো করে,
সকালবেলায় যখন রাখাল ছেলে গুরু চরায়,
মনে হয়ে ছুট্টে যাই মাঠের দিকে, প্রকৃতির সবুজের
সাথে মিশে গাভীদের সাথে খানিক বেড়াই।
দুপুর রোদে যখন বাউল একতারা হাতে নিত্যনতুন সুর তোলে,
ইচ্ছে হয় সেই সুরেতে আমিও খানিক সুর মেলাই মনের খেয়ালে।
সন্ধ্যেবেলায় সূয্যিমামা যখন যায় পাঠে,
মনটা ভীষণ খারাপ লাগে মনে হয় আমাকেও তো নিয়ে যেতো পারতো ওর সাথে?
আবার অন্ধকার রাতে যখন আকাশ জুড়ে বসে নক্ষত্রের রুপালি মেলা,
মনে হয় ছুট্টে যাই ওদের সাথে সারারাত ধরে করি
খেলা আর খেলা।
কখনও কেটে যায় ঘুমের সাথে ক্লান্ত একটা রাত,
আবার পূব আকাশে রবির কিরণ ডেকে বলে
ওঠো এবার হয়েছে সুপ্রভাত…
একান্তে ভাবি আমি মনেমনে
ভালোবাসি তো আমি সর্বজনে,
ওরা কি কেউ আমাকে ভালোবাসে?
নাকি আমিই কেবল ভালবাসি সকলকে নিজের ইচ্ছার প্রগাঢ় বিশ্বাসে।