ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে মঈনুদ্দিন আহমদ মসজিদ ও রওজা কমপ্লেক্স নির্মান কাজের উদ্বোধন Logo কমলনগরে হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, স্থানীয়দের মিষ্টি বিতরণ Logo অপারেশন ডেভিল হান্টে নোয়াখালীতে চেয়ারম্যানসহ আটক ৭ Logo বাগেরহাটে সাবেক এমপি শেখ হেলাল, তন্ম ও এসপিসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক -১ Logo কটিয়াদীতে চোর আটক Logo যোগাযোগ, কোয়ালিটি শিক্ষা ও কৃষির উন্নয়নই পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন- পার্বত্য উপদেষ্টা Logo নিউইয়র্কে চতুর্থ রেমিট্যান্স ফেয়ার ২০২৫ উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর Logo ব্রুনেই-কুয়াংসি অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণ বেগবান করার উদ্যোগ Logo চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ মার্কিন ভোক্তাদের খরচ বাড়াবে: মুখপাত্র Logo বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের সাথে ব্রুনাইয়ের সুলতানের বৈঠক

বাঘায় ব্যাগিং পদ্ধতিতে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন

  • রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আমের রয়েছে বিশ্বব্যাপী সুনাম। প্রতিবছর বাঘা উপজেলা থেকে বিদেশে আম রপ্তানি হয়।  রাজশাহী জেলার ১৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর আম বাগানের মধ্যে বাঘা উপজেলাতেই রয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর আম বাগান। উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানি কিন্তু খুবই সীমিত পর্যায়ের হয়। বিদেশে আম রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে নিরাপদ আম উৎপাদন কার্যক্রন হাতে নিয়েছে। এ লক্ষ্যে  চুক্তিবদ্ধ চাষীদের ” রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প” এর আওতায় প্রদর্শনীসহ   প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রদর্শনীভুক্ত চাষীদের উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, নিরাপদ ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি, পরিচ্ছন্ন চাষাবাদের লক্ষ্যে প্রুনিং, অংগ ছাঁটাই,  মৃত্তিকা পরীক্ষার মাধ্যমে সুষম মাত্রার সার প্রয়োগ, বালাইনাশকে যৌক্তিক ব্যবহার বিষয়ক হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত বাগান মনিটরিং করে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন।
বাঘা উপজেলার কলিগ্রামের আম চাষী মোঃ শফিকুল ইসলাম ছানা জানান, বিদেশে আম রপ্তানির জন্য ইতোমধ্যেই হিমসাগর জাতের আমে ব্যাগিং করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আম্রপালি,ফজলি, আশ্বিনা জাতের আমেও ব্যাগিং করা হবে। নিরাপদ আম উৎপাদনে ব্যাগিং অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে বালাইনাশক ব্যবহার হ্রাস পায় এবং আমটাও সুন্দর সাইজ ও কালারের হয়। সবচেয়ে বড় কথা আমটা নিরাপদ হয়। আর বিদেশে আম রপ্তানির শর্তই হচ্ছে নিরাপদ আম হতে হবে, যা শুধুমাত্র ব্যাগিং পদ্ধতিতেই সম্ভব।

এ ব্যাপারে বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, রাজশাহীকে আমের জন্য বিখ্যাত বলা হলেও বাঘা উপজেলা আম প্রধান অঞ্চল হিসাবে খ্যাত। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটিতে যে পরিমাণ আম উৎপাদন হয়, তার চেয়েও বেশি আম উৎপাদন হয় বাঘা উপজেলায়। প্রায় ৮-১০ বছর ধরে এ উপজেলার আম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইতালি, হংকং, নেদারল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে এ উপজেলার আম রপ্তানি করা হয়। গত বছর বাঘা উপজেলা থেকে ৩৬ লাখ টাকার আম রপ্তানি করা হয়েছে। যদিও টাকার অংকে কম। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্যে রপ্তানির কার্যক্রমটা অব্যহত রাখা। এ বছর ২০০ কোটি টাকার আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের ফ্রুট ব্যাগিং করতে উৎসাহ দিচ্ছি। তারা ফ্রুট ব্যাগিং করছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ আম ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়েছে। আরও ৮ লাখ আম ফ্রুট ব্যাগিং করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাষিদের আম উৎপাদন ও রপ্তানিতে উৎসাহিত করছি। প্রতি বছর এই ধরনের চাষির সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে ৩৫ থেকে ৪০ জন এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আম উৎপাদন করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত বাঘা উপজেলা থেকে ইতালি, হংকং ও  ইংল্যান্ড এ মোট ১১৪০ কেজি আম রপ্তানি হয়েছে, যা সবগুলোই স্থানীয় গুটি জাতের চোষা আম। ব্যাগিং পদ্ধতিতে হিমসাগর আম এ মাসের ২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানান।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে মঈনুদ্দিন আহমদ মসজিদ ও রওজা কমপ্লেক্স নির্মান কাজের উদ্বোধন

SBN

SBN

বাঘায় ব্যাগিং পদ্ধতিতে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন

আপডেট সময় ১২:৩৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আমের রয়েছে বিশ্বব্যাপী সুনাম। প্রতিবছর বাঘা উপজেলা থেকে বিদেশে আম রপ্তানি হয়।  রাজশাহী জেলার ১৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর আম বাগানের মধ্যে বাঘা উপজেলাতেই রয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর আম বাগান। উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানি কিন্তু খুবই সীমিত পর্যায়ের হয়। বিদেশে আম রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে নিরাপদ আম উৎপাদন কার্যক্রন হাতে নিয়েছে। এ লক্ষ্যে  চুক্তিবদ্ধ চাষীদের ” রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প” এর আওতায় প্রদর্শনীসহ   প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রদর্শনীভুক্ত চাষীদের উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, নিরাপদ ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি, পরিচ্ছন্ন চাষাবাদের লক্ষ্যে প্রুনিং, অংগ ছাঁটাই,  মৃত্তিকা পরীক্ষার মাধ্যমে সুষম মাত্রার সার প্রয়োগ, বালাইনাশকে যৌক্তিক ব্যবহার বিষয়ক হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত বাগান মনিটরিং করে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন।
বাঘা উপজেলার কলিগ্রামের আম চাষী মোঃ শফিকুল ইসলাম ছানা জানান, বিদেশে আম রপ্তানির জন্য ইতোমধ্যেই হিমসাগর জাতের আমে ব্যাগিং করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আম্রপালি,ফজলি, আশ্বিনা জাতের আমেও ব্যাগিং করা হবে। নিরাপদ আম উৎপাদনে ব্যাগিং অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে বালাইনাশক ব্যবহার হ্রাস পায় এবং আমটাও সুন্দর সাইজ ও কালারের হয়। সবচেয়ে বড় কথা আমটা নিরাপদ হয়। আর বিদেশে আম রপ্তানির শর্তই হচ্ছে নিরাপদ আম হতে হবে, যা শুধুমাত্র ব্যাগিং পদ্ধতিতেই সম্ভব।

এ ব্যাপারে বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, রাজশাহীকে আমের জন্য বিখ্যাত বলা হলেও বাঘা উপজেলা আম প্রধান অঞ্চল হিসাবে খ্যাত। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটিতে যে পরিমাণ আম উৎপাদন হয়, তার চেয়েও বেশি আম উৎপাদন হয় বাঘা উপজেলায়। প্রায় ৮-১০ বছর ধরে এ উপজেলার আম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইতালি, হংকং, নেদারল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে এ উপজেলার আম রপ্তানি করা হয়। গত বছর বাঘা উপজেলা থেকে ৩৬ লাখ টাকার আম রপ্তানি করা হয়েছে। যদিও টাকার অংকে কম। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্যে রপ্তানির কার্যক্রমটা অব্যহত রাখা। এ বছর ২০০ কোটি টাকার আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের ফ্রুট ব্যাগিং করতে উৎসাহ দিচ্ছি। তারা ফ্রুট ব্যাগিং করছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ আম ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়েছে। আরও ৮ লাখ আম ফ্রুট ব্যাগিং করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাষিদের আম উৎপাদন ও রপ্তানিতে উৎসাহিত করছি। প্রতি বছর এই ধরনের চাষির সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে ৩৫ থেকে ৪০ জন এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আম উৎপাদন করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত বাঘা উপজেলা থেকে ইতালি, হংকং ও  ইংল্যান্ড এ মোট ১১৪০ কেজি আম রপ্তানি হয়েছে, যা সবগুলোই স্থানীয় গুটি জাতের চোষা আম। ব্যাগিং পদ্ধতিতে হিমসাগর আম এ মাসের ২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানান।