ঢাকা ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ব্যবসায়ী মৃত্যু Logo আইএসইউ ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা Logo বেইতৌ সিস্টেম ১১টি আন্তর্জাতিক সংস্থার স্ট্যান্ডার্ড সিস্টেমে সম্পূর্ণরূপে প্রবেশ Logo চীনা চলচ্চিত্রের প্রাণবন্ততা ও গতিশীলতা শিরোনামে ভ্যারাইটি’র প্রবন্ধ Logo দাতার দখলে বিদ্যালয়ের অর্ধেক জমি Logo দিন-দিন বাড়ছে সিলেট চা শিল্পের বাজার সিন্ডিকেটের দখলদারিত্ব Logo ঢাকায় নিষিদ্ধ আ. লীগের মিছিল থেকে আটক ১১ নেতাকর্মীর ৬ জনই আমতলীর Logo সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র জামদানি সিনেমাটোগ্রাফার মিঠু মনির Logo কিশোরগঞ্জে গাছে গাছে ঝুলছে রঙিন লিচু, ১০ কোটি টাকার বিক্রির আশা চাষীদের

বাঙালির মুক্তিরসনদ ৬ দফা

সোহাগ আরেফিন

৭ জুন ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ দিন ৭ জুন।

১৯৬৬ সালের এই দিনে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহিদ হন। এর পরে ৬ দফা আন্দোলন স্ফূলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র; রাজপথে নেমে আসে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ।

পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল নিয়ে ডাকা জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচার অভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬ দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ এই ৬ দফা সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করে এবং ৬ দফার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ৬ দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ।

৬ দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে আইয়ুব খানের সামরিক সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলার জনগণ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ দফার প্রতি বাঙালির অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা।

৬ দফা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে অঙ্কুরিত হয় স্বাধীনতা স্বপ্নবীজ। ৬ দফাভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ৬ দফার ভূমিকা অপরিসীম। প্রতি বছরের মতো এবারও সমগ্র জাতিকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

বাঙালির মুক্তিরসনদ ৬ দফা

আপডেট সময় ০২:১৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

সোহাগ আরেফিন

৭ জুন ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ দিন ৭ জুন।

১৯৬৬ সালের এই দিনে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহিদ হন। এর পরে ৬ দফা আন্দোলন স্ফূলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র; রাজপথে নেমে আসে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ।

পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল নিয়ে ডাকা জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচার অভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬ দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ এই ৬ দফা সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করে এবং ৬ দফার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ৬ দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ।

৬ দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে আইয়ুব খানের সামরিক সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলার জনগণ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ দফার প্রতি বাঙালির অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা।

৬ দফা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে অঙ্কুরিত হয় স্বাধীনতা স্বপ্নবীজ। ৬ দফাভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ৬ দফার ভূমিকা অপরিসীম। প্রতি বছরের মতো এবারও সমগ্র জাতিকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে।