স্টাফ রিপোর্টার :
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ায় ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক গত ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হলো ‘সম্প্রীতি উৎসব ২০২৩’। বাঁকুড়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ মিলনায়তনে উৎসবের প্রধান অতিথি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার তাত্ত্বিক, কবি ও শিকড়সন্ধানী লেখক অধ্যাপক মু. নজরুল ইসলাম তামিজী প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সম্প্রীতি উৎসব এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কামরুজ্জামান জনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সাহিত্যিক কৃষ্ণদুলাল চট্টোপাধ্যায়, প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক লোককবি তারাশঙ্কর চক্রবর্তী, ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক কবি ড. বিপ্লব মন্ডল, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী খান চৌধুরী মানিক (বাংলাদেশ), সব্যসাচী লেখক ফারুক প্রধান (বাংলাদেশ), লেখক মতিউল মাওলা (বাংলাদেশ), কবি প্রসপারিনা সরকার (বাংলাদেশ), কবি নার্গিস জুঁই (বাংলাদেশ), মাহিদুল ইসলাম মাহী (বাংলাদেশ)। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের শতাধিক কবি লেখক উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মু. নজরুল ইসলাম তামিজী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংযোগ রয়েছে। ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য এবং শিল্পকলাসংক্রান্ত বিষয়গুলোতে যেমন মিল রয়েছে তেমনি এই বিষয়গুলোর প্রতি দুই দেশের মানুষের আবেগও প্রায় সমরূপ। এই দুই দেশের মতো নিবিড় ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক পৃথিবীতে বিরল। বাংলাদেশ ও ভারত শুধু ভৌগোলিক সীমান্ত সম্পর্কেই আবদ্ধ নয়, বরং দুই দেশ অর্থনীতি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা ক্ষেত্রে পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল।’ তিনি আরও বলেন ,’বাংলাদেশ ও ভারতের অনুসৃত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে নিরপেক্ষ নীতি দুই দেশের সৌহার্দপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য অপরিমেয় ভূমিকা রাখতে পারে।’ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভুমিকার বিষয়টি ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক মু. নজরুল ইসলাম তামিজী গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
ড. বিপ্লব মন্ডল বলেন, বাঁকুড়ায় এই প্রথম একটি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্প্রীতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় আসীন বলে তিনি মন্তব্য করেন।