
মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পরে বিজয় উল্লাসে মেতেছিলো সারাদেশ। তেমনি বিজয় মিছিলে শামিল হতে সোমবার বিকেলে সাইনবোর্ড এলাকায় যায় পিতা মাতা হারা এতিম ছেলে আল মামুন আমানত (৩৮)। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় যাওয়ার পর শুরু হয় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ। এর পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন আল মামুন আমানত।
তিনি কুমিল্লাা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুুর গ্রামের মৃত লতিফ সরকারের একমাত্র ছেলে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গত ১৩ই আগস্ট ঢাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের বেওয়ারিশ লাশের সারি থেকে তার মরদেহ সনাক্ত করে স্বজনরা।
নিহতের চাচাত ভাই শাহিন সরকার জানান আল মামুন আমানত নারায়নগঞ্জের চাষাড়া এলাকায় হোশিয়ারি ব্যবসা করতেন। তার ২বছর ও ৭বছরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ৫ই আগস্ট মোটরসাইকেল নিয়ে বিজয় মিছিলে গিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এসময় তার মাথার অংশ থেতলে দিয়ে সড়কে ফেলে রাখে হামলাকারীরা। এরপর তার আর কোন খোঁজ পাইনি আমরা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ১৩ই আগষ্ট ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে বেওয়ারিশ হিসেবে রাখা লাশের মধ্যে তার মরদেহ শনাক্ত করি। তারপর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১৬ই আগস্ট নারায়ণগঞ্জ থেকে মুরাদনগরে তার জন্মস্থান কৃষ্ণপুর গ্রামে জানাযা দিয়ে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আমার ভাইয়ের ২টি অবুঝ সন্তান। তারা কিছু বুঝার আগেই পিতা হারা হয়ে গেছে। সরকারের কাছে এই শিশু দুটির দায়িত্ব নেয়ায় জন্য দাবী জানাই। আর যারা ভাইকে হত্যা করেছে তাদের বিচার দাবী করছি।