যশোর বেনাপোলে ভারতীয় পেট্রাপোল সীমান্তরক্ষী বাহিনী বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি করা মাছের মধ্য থেকে দুই কোটি ৭৮ লাখ ভারতীয় রুপি মূল্যের ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর আমদানি-রপ্তানিতে নজরদারি শুরু করছে প্রশাসন। বেনাপোল এলাকার একটি শক্তিশালি চক্র এই স্বর্ণ পাচারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জড়িত থাকলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে তারা। ফলে একের পর এক স্বর্ণ পাচার হয়ে যাচ্ছে।ব্যবসায়ীদের দাবি, বেনাপোল বন্দর সুরতি না থাকায় একের পর এক দুর্নীতি আর অনিয়ম ধরা পড়ছে।
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখা সূত্রে জানা গেছে, সাতীরার মোস্তফা অর্গানিক নামক একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তিন টন তেলাপিয়া মাছ ট্রাকে (সাতীরা ড-১১-০০৪৭) ভারতে রপ্তানি করেন। পণ্যের মূল্য ৭৫০০ মার্কিন ডলার। পণ্য চালানটি রপ্তানির জন্য ব্রাদার্স সেন্ডিগেট নামক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনাপোল কাস্টমসে ডকুমেন্টস দাখিল করে। পণ্য চালানটি আমদানি করে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বাবা ইন্টারন্যাশনাল। পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রয়েস ইন্টারন্যাশনাল। বৈধ মাছের মধ্য থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশি মাছবোঝাই ট্রাকটি নো ম্যান্সল্যান্ডে পৌঁছলে বিএসএফ সদস্যরা ট্রাকটি তাদের জিম্মায় নিয়ে নেন। পরে ট্রাক থেকে মাছের প্যাকেট নামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তেলাপিয়া মাছের মধ্য থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন চার কেজি ৬৬৭ গ্রাম। আটক করা সোনার মোট মূল্য দুই কোটি ৭৮ লাখ ভারতীয় রুপি।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, সোনাসহ ট্রাকচালককে আটক করা হয়। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। ওই পাচারকারীর নাম সুশঙ্কর দাস। তিনি বাংলাদেশের সাতীরার বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই ট্রাকচালক জানিয়েছেন, তিনি ১৫ বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছেন। ট্রাক মালিক সফিকুল ইসলাম সাতীরার বাসিন্দা বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওই মাছ কলকাতার বাবা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংস্থাকে হস্তান্তর করার কথা ছিল। অভিযুক্তকে সোনার বিস্কুট এবং ট্রাকসহ পেট্রাপোলের শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। এ ব্যাপারে পেট্রাপোল থানায় একটি মামলা হয়েছে।