মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
মা তোমরা খাবার খেয়ে নিও আমি গাড়ী নিয়ে গেলাম বলে প্রতিদিনের মতো বিকেলে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা নিয়ে বের হয় ইমন(১৫)। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো আকাশ কালো মেঘে অন্ধকার হয়ে নামে বৃষ্টি কিন্তু ঘরে আর ফিরে আসে না সে। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও আদরের সন্তান ঘরে ফিরে না আসায় পাগলের মতো বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেন মা বাবা। ছেলে এবং অটোরিক্সার কোন সন্ধান না পেয়ে পরদিন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মা আসমা বেগম। শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধনীরামপুরের গুচ্ছ গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ ইমন মিয়া ধনীরামপুর গ্রামের ভ্যান চালক গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
৫দিনেও ছেলেকে ফিরে না পেয়ে আর্তনাদে বুক ভাসাচ্ছেন মা বাবা। সন্তানকে জীবিত ফিরে পাওয়ার আশায় বুক বেধে আছেন মা আসমা বেগম। তাদের কান্না দেখে নিজেদের সামলে রাখতে পারছেন না প্রতিবেশিরাও। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে এলাকার পরিবেশ। সন্তান না পাওয়া মায়ের করা অভিযোগের ৪দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি পুলিশ।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি দরিদ্র মানুষ ভ্যান গাড়ী চালাই, আমার ছেলে ইমন সংসারের আয়-রোজগার করার জন্য অটোরিক্সা চালায়। প্রতিদিনের মতো গত শুক্রবার বিকেলে গাড়ী নিয়ে রের হয়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও আমার ছেলে বাড়ীতে ফিরে না আসায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে তার কোন সন্ধান পাইনি। আমি ধারনা করতেছি যে অটোরিক্সাটির প্রতি লোভ করে কেউ আমার ছেলেকে কৌশলে কোথাও নিয়ে গেছে। তবে টাকা চেয়ে কেউ কোন ফোন কল করেনি। গাড়ী নিয়ে গেলে যাক, আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিক। আমি গাড়ী চাইনা আমার ছেলেকে জীবিত ফেরত চাই। শনিবার অভিযোগ করছি রবিবারেও পুলিশ আসেনি আজকে সোমবারেও আমাদের বাড়ীতে পুলিশ আসেনি। আমার ছেলেকে উদ্ধারের কোন তৎপরতা দেখছি না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ছবির হোসেন, বলেন চার দিন হয়ে গেছে ছেলেটির কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। অতি দ্রুত ছেলেটিকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানাই।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সম্ভাব্য এলাকার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের জন্য কাজ করছে পুলিশ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.