ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিড়ছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এম.টি ডলফিন-১৯

মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার চিটাগুড় আমদানি করছে বাংলাদেশ

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

ভারত ৫০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক বৃদ্ধি করায় বিকল্প ও সহজলভ্য হিসেবে পাকিস্তান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার চিটাগুড় (চারণকারী প্রাণীদের শক্তির উপকরণ) আমদানি করেছে বাংলাদেশ।

যার প্রথম চালান নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এম.টি ডলফিন-১৯। জাহাজটি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিটাগুড় নিয়ে আসে। এদিন দুপুর থেকে ওই জাহাজটি হতে চিটাগুড় খালাস শুরু হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান জানান, গত ২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চিটাগুড় নিয়ে জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে এই বন্দর দিয়ে চিটাগুড় খালাস করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘পদ্মা ফিড এন্ড চিকস লিমিটেড কোম্পানি’। খালাস হওয়া এ চিটাগুড় মোংলা থেকে সড়ক ও নৌপথের মাধ্যমে নেয়া হবে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে। সেখান থেকে তা দেশের বিভিন্ন ফিড কোম্পানিতে সরবরাহ করা হবে।

এদিকে পাকিস্তান থেকে প্রথমবারের মতো চিটাগুড় আমদানি হওয়ায় বিদেশি জাহাজটির ক্যাপ্টেন, নাবিক, আমদানীকারক ও শিপিং এজেন্ট প্রতিনিধিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোংলা কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর শফিকুল ইসলাম সরকারসহ অন্যান্যরা।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান আরও জানান, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই এ বন্দরের মাধ্যমে সর্ব প্রথম গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি এবং ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো হিমায়িত ফল আমদানি শুরু হয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থ-বছরে প্রথম ৭ মাসে মোংলা বন্দরে ৪৯৬টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করে। ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৩ শত মেট্রিক টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে ২৩টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ থেকে ১২ হাজার ৮৩ টিইইউজ কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং এবং ১২টি গাড়ির জাহাজ থেকে ৬ হাজার ৭৫১ ইউনিট রিকন্ডিশন গাড়ি খালাস করা হয়।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণপ্রবাহ এ বন্দরটি লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বর্তমানে খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, সার, মোটর গাড়ি, মেশিনারিজ, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তেলবীজ, এলপিজি গ্যাস আমদানি এবং সাদামাছ চিংড়ি, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, কাকড়া, ক্লে টাইলস, রেশমী কাপড় ও জেনারেল কার্গো রপ্তানির মাধ্যমে দেশের চলমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভিড়ছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এম.টি ডলফিন-১৯

মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার চিটাগুড় আমদানি করছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৩:১৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

ভারত ৫০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক বৃদ্ধি করায় বিকল্প ও সহজলভ্য হিসেবে পাকিস্তান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার চিটাগুড় (চারণকারী প্রাণীদের শক্তির উপকরণ) আমদানি করেছে বাংলাদেশ।

যার প্রথম চালান নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এম.টি ডলফিন-১৯। জাহাজটি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিটাগুড় নিয়ে আসে। এদিন দুপুর থেকে ওই জাহাজটি হতে চিটাগুড় খালাস শুরু হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান জানান, গত ২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চিটাগুড় নিয়ে জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে এই বন্দর দিয়ে চিটাগুড় খালাস করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘পদ্মা ফিড এন্ড চিকস লিমিটেড কোম্পানি’। খালাস হওয়া এ চিটাগুড় মোংলা থেকে সড়ক ও নৌপথের মাধ্যমে নেয়া হবে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে। সেখান থেকে তা দেশের বিভিন্ন ফিড কোম্পানিতে সরবরাহ করা হবে।

এদিকে পাকিস্তান থেকে প্রথমবারের মতো চিটাগুড় আমদানি হওয়ায় বিদেশি জাহাজটির ক্যাপ্টেন, নাবিক, আমদানীকারক ও শিপিং এজেন্ট প্রতিনিধিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোংলা কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর শফিকুল ইসলাম সরকারসহ অন্যান্যরা।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান আরও জানান, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই এ বন্দরের মাধ্যমে সর্ব প্রথম গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি এবং ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো হিমায়িত ফল আমদানি শুরু হয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থ-বছরে প্রথম ৭ মাসে মোংলা বন্দরে ৪৯৬টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করে। ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৩ শত মেট্রিক টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে ২৩টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ থেকে ১২ হাজার ৮৩ টিইইউজ কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং এবং ১২টি গাড়ির জাহাজ থেকে ৬ হাজার ৭৫১ ইউনিট রিকন্ডিশন গাড়ি খালাস করা হয়।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণপ্রবাহ এ বন্দরটি লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বর্তমানে খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, সার, মোটর গাড়ি, মেশিনারিজ, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তেলবীজ, এলপিজি গ্যাস আমদানি এবং সাদামাছ চিংড়ি, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, কাকড়া, ক্লে টাইলস, রেশমী কাপড় ও জেনারেল কার্গো রপ্তানির মাধ্যমে দেশের চলমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।