ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান; ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি Logo চট্টগ্রামে বিপুল পরিমান দেশি-বিদেশী মাদক ও ২ টি দেশীয় অস্ত্র জব্দ Logo আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চাঁদপুরে এক আইনজীবীর সনদ স্থগিত Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ পেলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo লবণচরা প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহে যুবকের কারাদণ্ড Logo কর্ণফুলী শিল্প বিল্ডার্স থেকে অধিকমূল্যে জাহাজ ক্রয় ও ড্রেজার নির্মাণে অভিযোগে Logo ১৫ বছর পর ঢাকায় বৈঠকে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবরা Logo সিলেটে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েই শঙ্কা Logo কক্সবাজারে আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ একতরফাবাদ, সুরক্ষাবাদ ও অর্থনৈতিক বলদর্পী আচরণ

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৫:১৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন অজুহাতে চীনসহ তার সমস্ত বাণিজ্যিক অংশীদারের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছে। এটি সমস্ত দেশের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে, নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। চীন সরকার এর তীব্র নিন্দা জানায় এবং দৃঢ় বিরোধিতা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট অনুশীলনগুলো মৌলিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা এবং বাজার নীতির লঙ্ঘন করে, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনায় অর্জিত স্বার্থের ভারসাম্যকে উপেক্ষা করে এবং যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য থেকে প্রচুর লাভবান হওয়ার সত্যকে উপেক্ষা করে। যুক্তরাষ্ট্র চরম চাপ প্রয়োগ এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য শুল্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এটি একতরফাবাদ, সুরক্ষাবাদ এবং অর্থনৈতিক বলদর্পী আচরণ।

‘সমতা’ এবং ‘ন্যায্যতা’ অনুসরণের অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র জিরো-সাম গেম খেলায় লিপ্ত হচ্ছে। মূলত, এটি ‘আমেরিকা ফাস্ট’ এবং ‘আমেরিকা স্পেশাল’ নীতি অনুসরণ করছে। এটি বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক শৃঙ্খলাকে বিপর্যস্ত করার জন্য শুল্ক ব্যবহার করছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জনস্বার্থের চেয়ে আমেরিকান স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রাখছে এবং তার আধিপত্যবাদী স্বার্থ পূরণের জন্য বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর বৈধ স্বার্থকে খর্ব করছে। অনিবার্যভাবে এর ঘোর বিরোধিতা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

চীন একটি প্রাচীন সভ্যতা এবং শিষ্টাচারের দেশ। চীনা জনগণ অন্যদের সাথে আন্তরিকতার সাথে আচরণ করা এবং আস্থাকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করায় বিশ্বাসী। আমরা ঝামেলা উস্কে দিই না, কিন্তু ঝামেলাকে ভয় পাই না। চাপ এবং হুমকি চীনের সাথে মোকাবিলা করার সঠিক উপায় নয়। চীন নিজের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তা অব্যাহত রাখবে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের মূল কথা হলো পারস্পরিক কল্যাণ এবং সকলের জন্য জয়-জয় নীতি। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত দু’দেশ এবং বিশ্বজুড়ে জনগণের অভিন্ন প্রত্যাশা পূরণ করা, দুই দেশের মৌলিক স্বার্থ রক্ষা করতে চীনের অর্থনীতি ও বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য শুল্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা এবং চীনা জনগণের উন্নয়নের বৈধ অধিকারকে ক্ষুণ্ন করা থেকে বিরত থাকা।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম পণ্য ভোক্তা বাজার হিসেবে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যতই পরিবর্তিত হোক না কেন, বহির্বিশ্বের সাথে চীনের দরজা কেবল বিস্তত থেকে বিস্তৃততর হবে। আমরা উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণকে এগিয়ে নিয়ে যাবো; নিয়ম, প্রবিধান, ব্যবস্থাপনা ও মানদণ্ডের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক উন্মুক্তকরণকে ধারাবাহিকভাবে সম্প্রসারণ করবো, উচ্চ-স্তরের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উদারীকরণ ও সুবিধা প্রদানের নীতি বাস্তবায়ন করবো, বাজার-ভিত্তিক, আইন-ভিত্তিক ও আন্তর্জাতিকীকরণযোগ্য একটি প্রথম-স্তরের ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করবো, বিশ্বের সাথে উন্নয়নের সুযোগ ভাগ করে নেবো এবং পারস্পরিক সুবিধা এবং জয়-জয় ফলাফল অর্জন করবো।
সূত্র : লিলি-হাশিম-তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান; ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

SBN

SBN

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ একতরফাবাদ, সুরক্ষাবাদ ও অর্থনৈতিক বলদর্পী আচরণ

আপডেট সময় ০৫:১৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন অজুহাতে চীনসহ তার সমস্ত বাণিজ্যিক অংশীদারের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছে। এটি সমস্ত দেশের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে, নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। চীন সরকার এর তীব্র নিন্দা জানায় এবং দৃঢ় বিরোধিতা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট অনুশীলনগুলো মৌলিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা এবং বাজার নীতির লঙ্ঘন করে, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনায় অর্জিত স্বার্থের ভারসাম্যকে উপেক্ষা করে এবং যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য থেকে প্রচুর লাভবান হওয়ার সত্যকে উপেক্ষা করে। যুক্তরাষ্ট্র চরম চাপ প্রয়োগ এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য শুল্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এটি একতরফাবাদ, সুরক্ষাবাদ এবং অর্থনৈতিক বলদর্পী আচরণ।

‘সমতা’ এবং ‘ন্যায্যতা’ অনুসরণের অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র জিরো-সাম গেম খেলায় লিপ্ত হচ্ছে। মূলত, এটি ‘আমেরিকা ফাস্ট’ এবং ‘আমেরিকা স্পেশাল’ নীতি অনুসরণ করছে। এটি বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক শৃঙ্খলাকে বিপর্যস্ত করার জন্য শুল্ক ব্যবহার করছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জনস্বার্থের চেয়ে আমেরিকান স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রাখছে এবং তার আধিপত্যবাদী স্বার্থ পূরণের জন্য বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর বৈধ স্বার্থকে খর্ব করছে। অনিবার্যভাবে এর ঘোর বিরোধিতা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

চীন একটি প্রাচীন সভ্যতা এবং শিষ্টাচারের দেশ। চীনা জনগণ অন্যদের সাথে আন্তরিকতার সাথে আচরণ করা এবং আস্থাকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করায় বিশ্বাসী। আমরা ঝামেলা উস্কে দিই না, কিন্তু ঝামেলাকে ভয় পাই না। চাপ এবং হুমকি চীনের সাথে মোকাবিলা করার সঠিক উপায় নয়। চীন নিজের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তা অব্যাহত রাখবে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের মূল কথা হলো পারস্পরিক কল্যাণ এবং সকলের জন্য জয়-জয় নীতি। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত দু’দেশ এবং বিশ্বজুড়ে জনগণের অভিন্ন প্রত্যাশা পূরণ করা, দুই দেশের মৌলিক স্বার্থ রক্ষা করতে চীনের অর্থনীতি ও বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য শুল্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা এবং চীনা জনগণের উন্নয়নের বৈধ অধিকারকে ক্ষুণ্ন করা থেকে বিরত থাকা।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম পণ্য ভোক্তা বাজার হিসেবে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যতই পরিবর্তিত হোক না কেন, বহির্বিশ্বের সাথে চীনের দরজা কেবল বিস্তত থেকে বিস্তৃততর হবে। আমরা উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণকে এগিয়ে নিয়ে যাবো; নিয়ম, প্রবিধান, ব্যবস্থাপনা ও মানদণ্ডের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক উন্মুক্তকরণকে ধারাবাহিকভাবে সম্প্রসারণ করবো, উচ্চ-স্তরের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উদারীকরণ ও সুবিধা প্রদানের নীতি বাস্তবায়ন করবো, বাজার-ভিত্তিক, আইন-ভিত্তিক ও আন্তর্জাতিকীকরণযোগ্য একটি প্রথম-স্তরের ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করবো, বিশ্বের সাথে উন্নয়নের সুযোগ ভাগ করে নেবো এবং পারস্পরিক সুবিধা এবং জয়-জয় ফলাফল অর্জন করবো।
সূত্র : লিলি-হাশিম-তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।